বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইরাক-আফগানিস্তান থেকে আরও সেনা ‘সরাচ্ছে’ যুক্তরাষ্ট্র

  •    
  • ১৭ নভেম্বর, ২০২০ ০৯:২১

প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানান, আগামী বছরের মধ্য জানুয়ারির মধ্যে আফগানিস্তানে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ হাজার সেনা কমিয়ে আড়াই হাজার করা হবে। অন্যদিকে ইরাক থেকে ৫০০ সেনা কমিয়ে আড়াই হাজার করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার আগে ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে আরও সেনা প্রত্যাহার করবেন বলে ধারণা করছেন দেশটির সামরিক কর্মকর্তারা।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানান, আগামী বছরের মধ্য জানুয়ারির মধ্যে আফগানিস্তানে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ হাজার সেনা কমিয়ে আড়াই হাজার করা হবে। অন্যদিকে ইরাক থেকে ৫০০ সেনা কমিয়ে আড়াই হাজার করা হবে।

এর আগে চলতি বছরের বড়দিনের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ‘সব’ সেনা দেশে ফেরানোর কথা বলেছিলেন ট্রাম্প।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করা হবে।

এদিকে ট্রাম্পের সেনা প্রত্যাহারের এ পরিকল্পনায় জঙ্গিরা আনন্দিত হবে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির রিপাবলিকান সিনেটর মিচ ম্যাককনেল।

সোমবার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ম্যাককনেল বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের হাত থেকে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষায় আমরা অল্প করে হলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছি। বিশ্বের কল্যাণে কাজ করা শক্তিশালী বাহিনীকে সরিয়ে ফেললে ওইসব সন্ত্রাসীরা খুশি হবে।’

বেশ কিছুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ঘরে ফেরানোর পরিকল্পনার কথা বলে আসছিলেন ট্রাম্প। বিভিন্ন দেশে সামরিক হস্তক্ষেপ ব্যয়বহুল ও অকার্যকর বলেও সমালোচনা করেছিলেন তিনি।

সামরিক কর্মকর্তাদের বরাতে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, গেল সাপ্তাহিক ছুটিতে সামরিক নেতাদের সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনার বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে তা এখনো কমান্ডারদের কাছে পাঠানো হয়নি।

সেপ্টেম্বরে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইরাক থেকে এক তৃতীয়াংশেরও বেশি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিল পেন্টাগন।

২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বাহিনী ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দেশটিতে আক্রমণ করে। ওই সময় ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্রেরও খোঁজ করে দখলদার বাহিনী। পরে এ ধরনের কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারে জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা হামলা চালানোর কয়েক সপ্তাহ পর যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোট আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে তালেবানদের উৎখাত করে। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সেনা দেশটিতে অবস্থান করছে।

এ বিভাগের আরো খবর