যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট নিশ্চিত করার পর থেকেই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন বিশ্বনেতারা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর অবশ্য সে পথে হাঁটেননি। আনুষ্ঠানিকতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি বাইডেনকে অভিনন্দন জানাবেন না বলে জানিয়েছেন।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে লোপেজ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে সব আইনি সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করতে যাচ্ছি। আমি কোনো প্রার্থীকেই অভিনন্দন জানাব না। নির্বাচনের সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করব।’
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য পেনসিলভেনিয়ায় জয়ের পরই প্রেসিডেন্ট হতে প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট নিশ্চিত হয় বাইডেনের।
তবে এরপরও বাইডেন কবে দায়িত্ব নিচ্ছেন, তা এখনই বলা যাচ্ছে না ট্রাম্পের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে।
নির্বাচনের দিন থেকেই ক্রমাগত কারচুপির অভিযোগ করে আসছেন ট্রাম্প। ফল নিয়ে মামলাও করেছেন একাধিক।
সুস্পষ্ট প্রমাণ দিতে না পারলেও ট্রাম্পের এসব কর্মকাণ্ডের কারণে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল আসতে অনেক দেরি হতে পারে। আবার ট্রাম্প সহজে ক্ষমতা ছাড়বেন কি না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়।
শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা ছাড়লেও ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি বাইডেন শপথ নেয়ার আগ পর্যন্ত হোয়াইট হাউজেই থাকবেন ট্রাম্প। এ সময়টুকুতে ট্রাম্পকে চটাতে চাচ্ছে না প্রতিবেশী রাষ্ট্রটির প্রধান।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার মেক্সিকো। দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক ৬০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি লেনদেন হয়। দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়েও উত্তরের এ প্রতিবেশীর সঙ্গে মেক্সিকোর সম্পর্ক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
২০১৬ সালে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অবশ্য দেশটির সঙ্গে মেক্সিকোর সম্পর্ক তলানিতে নামে। মেক্সিকোর অভিবাসীদের ‘ধর্ষণকারী’ ও ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে দুই দেশের সীমান্তে ‘বিশাল প্রাচীর’ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প।
এমন বাস্তবতায় ট্রাম্প যতদিন প্রেসিডেন্ট আছেন, ততদিন ন্যূনতম উসকানি দিতেও নারাজ মেক্সিকো।
দেশটির এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মেক্সিকোর সীমান্ত ৩ হাজার কিলোমিটারের। এমন প্রতিবেশীর সঙ্গে আগামী কয়েক মাস শান্তি ও সুসম্পর্ক রাখাটা জরুরি।