চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রিন্স উইলিয়াম।
ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদের সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রিন্স উইলিয়াম এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার বাবা প্রিন্স চার্লস এর আগের মাসে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হন।
উইলিয়ামের করোনায় আক্রান্ত হওয়া নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করা সংবাদপত্র ‘দ্য সান’ জানিয়েছে, দেশজুড়ে ভীতি ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ করেননি ৩৮ বছর বয়সী প্রিন্স।
প্রিন্স উইলিয়ামের বাড়ি ও কার্যালয় কেনসিংটন প্যালেস অবশ্য এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
ব্রিটিশ রাজ সিংহাসনের উত্তরাধিকারের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রিন্স উইলিয়াম তার করোনা আক্রান্তের খবর না জানানোর বিষয়ে দ্য সানকে বলেন, ‘অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে এবং আমি কাউকেই চিন্তিত করতে চাইনি।’
আক্রান্ত অবস্থায় নরফোকের পারিবারিক বাড়ি আনমার হলে ছিলেন উইলিয়াম। সরকারি নির্দেশনা মানার পাশাপাশি এ সময় প্রাসাদের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি।
বিবিসির রাজপরিবারবিষয়ক সংবাদদাতা জনি ডায়মন্ড বলছেন, প্রিন্স উইলিয়ামের অবস্থা প্রকাশ্যে না আনার কারণ হতে পারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো। তবে ওই সময় রাজ পরিবারের জন্য কিছু গোপনীয়তা রক্ষার চেষ্টা করেছিল প্রাসাদ কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও করোনায় আক্রান্ত হন। পরে তাকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়। সেরে ওঠার পর চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেকোনো কিছু হতে পারত।’
প্রিন্স উইলিয়ামের খবরটি এমন এক সময় প্রকাশিত হলো যখন যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্বিতীয় দফা লকডাউন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে চার সপ্তাহের লকডাউনে গেছে দেশটি।