লিবিয়ার যুদ্ধরত পক্ষগুলো ‘স্থায়ী’ যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় টানা পাঁচ দিন আলোচনার পর স্থানীয় সময় শুক্রবার তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ) ও জাতিসংঘ সমর্থিত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল-সারাজের নেতৃত্বাধীন গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল অ্যাকর্ডের (জিএনএ) মধ্যে আলোচনা হয়।
লিবিয়ায় নিযুক্ত জাতিসংঘ সাপোর্ট মিশনের (ইউএনএসএমআইএল) প্রধান স্টেফানি উইলিয়ামস বলেন, ‘লিবিয়াজুড়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি করেছে দুই পক্ষ। দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় এই অর্জন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
জিএনএর প্রতিনিধিদলের প্রধান আলী আবুশাহমা বলেন, ‘অনেক যন্ত্রণা, অনেক রক্তারক্তির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আমাদের। আশা করছি, লিবিয়ার সব অঞ্চল, বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে চলমান দুর্দশার অবসান হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি লিবিয়াবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ইউএনএসএমআইএলের ভাষ্য, সমন্বিত নেতৃত্বে বিরোধী পক্ষগুলো যৌথ সামরিক বাহিনী গঠনে সম্মত হয়েছে।
উইলিয়ামস জানান, চুক্তিতে লিবিয়ার সব অঞ্চল, আকাশ ও সমুদ্র থেকে সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে ভাড়াটে সেনা ও বিদেশি যোদ্ধাদের চলে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর ক্ষেত্রে যুদ্ধবিরতি প্রযোজ্য হবে না।’
২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়ায় অরাজকতা বেড়ে যায়। ক্ষমতায় যেতে বিদেশি শক্তির সহায়তায় বিভিন্ন দল কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে।
রাজধানী ত্রিপোলিসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চল দখল করে জিএনএ। অন্যদিকে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল দখলে রাখে হাফতার বাহিনী এলএনএ।
গত বছরের এপ্রিলে রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসরের সমর্থনে ত্রিপোলি দখলের লক্ষ্যে সেখানে হামলা চালায় এলএনএ। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতে তুরস্কের সমর্থনে জিএনএ পাল্টা হামলা করলে এলএনএ পিছপা হতে বাধ্য হয়।
সূত্র: মিডল ইস্ট আই