সাত মাস পর বেশি মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায়ের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী।
রোববার থেকে এই দুটি পবিত্র স্থানে নামাজ আদায় করতে পারছেন মুসল্লিরা। একইসঙ্গে মসজিদে নববীতে মহানবী হযরত মোহাম্মদের (স.) কবর জিয়ারতও করতে পারছেন তারা।
তবে শুধু স্থানীয় নাগরিক ও দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশিরাই এ সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছে সরকার।
মহানবীর জন্ম মাস রবিউল আউয়ালের শুরুতে এই সিদ্ধান্ত নিল সৌদি কর্তৃপক্ষ।
রোববার মদিনার মসজিদে নববীর বিশেষ স্থান রিয়াজুল জান্নাহতে নামাজ আদায় ও রওজা শরিফ জেয়ারত শুরু হয়েছে। প্রতিদিন এশা ছাড়া চার ওয়াক্তের নামাজের পর এ কার্যক্রম চালু থাকবে।
এজন্য ‘ইতামারনা’ নামে একটি অ্যাপে নিবন্ধন করতে হচ্ছে। বেঁধে দেয়া হয়েছে নামাজ আদায় ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পালনের সময়।
একজন নিবন্ধনকারী নামাজসহ সবধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার জন্য ৩০ মিনিট সময় পাবেন। নিবন্ধনের সময় করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিতে হবে সবাইকে।
কয়েক ধাপে ওমরাহ পালনের সুযোগ দেয়ার পরিকল্পনাও করেছে সৌদি সরকার।
প্রথম ধাপে ৪ অক্টোবর ওমরাহ পালন শুরু হয়। দিনে ছয় হাজার মুসলমান পবিত্র কাবা ঘর তাওয়াফের সুযোগ পাচ্ছিলেন।
নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দ্বিতীয় ধাপে রোববার (১৮ অক্টোবর) এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার শুরু হলে শর্তসাপেক্ষে সীমিত পরিসরে নামাজ পড়ার অনুমতি দেয় হারামাইন কর্তৃপক্ষ।
তবে মসজিদে প্রবেশ করার অনুমতি ছিল না সাধারণ মুসল্লিদের। শুধু ইমাম, মুয়াজ্জিনসহ মসজিদুল হারামের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেখানে নামাজ আদায় করতে পারতেন।
৩১ মে মসজিদে নববী খুলে দেয়া হলেও পুরাতন মসজিদ ও রিয়াজুল জান্নাহতে নামাজ এবং রওজা শরীফের জিয়ারত স্থগিত ছিল।