যুক্তরাষ্ট্রে ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই রেকর্ডসংখ্যক ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যের নির্বাচন কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দুই কোটি ২০ লাখেরও বেশি ভোটার সরাসরি বা মেইলের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন বলে জানান তারা।
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে একই সময়ে আগাম ভোট পড়েছিল ৬০ লাখ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে আগাম ভোটের জোয়ার দেখা গেছে। এই মহামারির সময়ে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে বিকল্প পদ্ধতিতে ভোট দিচ্ছেন নাগরিকরা।
টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে মঙ্গলবার আগাম ভোটের প্রথম দিনে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ ভোট দেন।
জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের কর্মকর্তারা জানান, সোমবার ছুটির দিন কলম্বাস দিবসে এক লাখ ২৬ হাজার ৮৭৬টি ভোট পড়ে, যা আগের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।
ওহাইও অঙ্গরাজ্যে ২৩ লাখেরও বেশি মানুষ ডাকযোগে ভোটের আবেদন করেছেন, যা ২০১৬ সালের তুলনায় দ্বিগুণ।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে আগাম ভোটে রিপাবলিকানদের চেয়ে এগিয়ে ডেমোক্র্যাটরা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ডেমোক্র্যাট সমর্থক, নারী ও কৃষ্ণাঙ্গরাই আগাম ভোটে বেশি অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেকে ট্রাম্পের প্রতি বিদ্বেষের জায়গা থেকে ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিচ্ছেন।
পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার পর মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে পুরো গ্রীষ্মজুড়ে জাতিগত বিদ্বেষবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় প্রভাবিত হয়েছেন অনেকে। তারাও ভোট দিচ্ছেন ডেমোক্র্যাটদের।
তবে এই আগাম ভোটের পরিসংখ্যান দেখে বলা যাবে না ডেমোক্র্যাটরাই নির্বাচনে জিতে যাচ্ছেন বা বিজয়ী দল হিসেবে নিজেদের দাবি করতে পারেন তারা।
ডাকযোগে ভোট গ্রহণ পদ্ধতিতে কারচুপির আশঙ্কা আছে বলে রিপাবলিকানরা আগে থেকেই বলে আসছে।
এখন তাদের ভাষ্য, ডেমোক্র্যাটরা আগাম ভোটে জয়ী হতে পারেন। তবে নির্বাচনের দিন বিপুলসংখ্যক মানুষ রিপাবলিকান পার্টিকেই ভোট দেবে।
সূত্র: বিবিসি