ইউরোপে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির ইউরোপবিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক ডা. হানস ক্লোগ এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ইউরোপে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। গত সপ্তাহেই নতুন শনাক্ত হয়েছে প্রায় সাত লাখ মানুষ। সংক্রমণের এ সংখ্যাটা মহামারি শুরুর পর এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ।
ডা. হানস উদ্বেগের সঙ্গে বলেন, করোনা এখন ইউরোপে মৃত্যুর পঞ্চম প্রধান কারণ। এ অবস্থায় বিভিন্ন দেশের সরকারের বিধি-নিষেধগুলো কঠোর হওয়া প্রয়োজন। কারণ করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
ডব্লিউএইচওর এ কর্মকর্তা জানান, মাত্র ১০ দিনেই ইউরোপে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬০ লাখ থেকে লাফিয়ে ৭০ লাখে পৌঁছেছে। এপ্রিলের তুলনায় প্রতিদিন দুই থেকে তিন গুণ বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ গুণ কম দেখা যাচ্ছে। একই সময়ে ভাইরাসটির কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। এটি আরও কম বা বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠেনি।
সম্ভাব্য অবনতি
ডা. হানস ব্যাখ্যা করে বলেন, আক্রান্তের হার বৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ হলো কম বয়সীদের মধ্যে করোনা পরীক্ষা চলানো। এ জনসংখ্যা আংশিকভাবে মৃত্যুহার হ্রাসের একটি কারণ। তবে মহামারি সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য মডেলগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, দীর্ঘ দিন ধরে বিধি-নিষেধ শিথিলকরণের ফলে এপ্রিলের তুলনায় মৃত্যু হার চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি হতে পারে। বিষয়টি ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে সামনে চলে আসবে।
এরই মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপগুলো বজায় রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দেন ডা. হানস। তিনি বলেন, সঠিকভাবে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় ও জমায়েতের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ অঞ্চলে অন্তত দুই লাখ ৮১ হাজার মানুষের জীবন বাঁচানো যেতে পারে।
ইউরোপে করোনাভাইরাস মহামারির প্রথম ঢেউয়ের সময় মূল কেন্দ্র ছিল ইতালি। সেখানে বৃহস্পতিবার আট হাজার ৮০৪ জনের সংক্রমণ হয়। আগের দিন এটি ছিল সাত হাজার ৩৩২ জন।
সূত্র: ইউএনবি