বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা চিকিৎসায় রেমডেসিভিরের কার্যকারিতা সামান্য: ডব্লিউএইচও

  •    
  • ১৬ অক্টোবর, ২০২০ ১২:০৪

স্বাস্থ্যবিজ্ঞানবিষয়ক প্রিপ্রিন্ট সার্ভার মেডআর্কাইভের এক প্রতিবেদনে গবেষকরা লিখেছেন, মৃত্যুহার কমানো, কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র ব্যবহার ও হাসপাতালের থাকার সময় কমানোর ক্ষেত্রে ওষুধগুলো খুব সামান্য অথবা কোনো ভূমিকাই রাখেনি।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর হাসপাতালে থাকা ও মৃত্যুহার কমাতে কার্যকর ওষুধ হিসেবে স্বীকৃত রেমডেসিভিরের প্রভাব খুব সামান্য বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীদের ওপর রেমডেসিভির, হাইড্রোক্সি-ক্লোরোকুইন, লোপিনাভির ও ইন্টারফেরন নামের চারটি ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে স্বাস্থ্যবিজ্ঞানবিষয়ক প্রিপ্রিন্ট সার্ভার মেডআর্কাইভের এক প্রতিবেদনে গবেষকরা লিখেছেন, মৃত্যুহার কমানো, কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র ব্যবহার ও হাসপাতালের থাকার সময় কমানোর ক্ষেত্রে ওষুধগুলো খুব সামান্য অথবা কোনো ভূমিকাই রাখেনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তত্ত্বাবধানে হওয়া গবেষণা প্রতিবেদনটি অবশ্য এখনো পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়নি।

৩০টি দেশে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে বাছাই করা ৪০৫টি হাসপাতালের ১১ হাজার ২৬৬ রোগীর ওপর ওষুধগুলোর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়।

তাদের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৭৫০ জনকে রেমডেসিভির, ৯৫৪ জনকে হাইড্রোক্সি-ক্লোরোকুইন, ১ হাজার ৪১১ জনকে লোপিনাভির, ৬৫১ জনকে ইন্টারফেরন ও লোপিনাভির, ১ হাজার ৪১২ জনকে শুধু ইন্টারফেরন এবং ৪ হাজার ৮৮ জনকে এসব ওষুধের কোনটিই দেওয়া হয়নি।

জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের সহযোগী গবেষণা অধ্যাপক জুলি ফিশার বলেন, “এটি অবশ্যই হতাশাব্যঞ্জক। আমরা সবাই যা দেখতে চাই তা হলো ‘ম্যাজিক বুলেট’; এটি এমন ওষুধ যা নিরাপদ ও কার্যকর। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই পরীক্ষায় দেখা গেছে, রেমিডেসিভির কোনভাবেই সেই চাহিদা পূরণ করছে না।”

যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা গিলিয়েড সায়েন্সেস ইবোলার চিকিৎসার জন্য রেমডেসিভির তৈরি করেছিল। করোনার প্রাথমিক চিকিৎসায়ও এটি ব্যবহার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর তাকেও এ ওষুধ দেওয়া হয়।

প্রতিবেদনটি নিয়ে এক বিবৃতিতে উৎপাদক প্রতিষ্ঠান গিলিয়েড সায়েন্সেস বলেছে, তারা ‘উদ্বিগ্ন’ যে প্রাপ্ত তথ্যগুলো ভালোভাবে পর্যালোচনা করা হয়নি। এমনকি এ ফল থেকে কোনো ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত’ পাওয়া যাবে কি না, তাও স্পষ্ট নয়।

চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানটির একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, রেমডেসিভির গ্রহণ করা রোগীদের সেরে উঠতে প্রায় পাঁচ দিন সময় কম লাগছে।

চলতি বছরের ১ মে করোনা চিকিৎসায় রেমডেসিভির ব্যবহারের জরুরি অনুমোদন দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন। পরে বেশ কয়েকটি দেশ এ ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর