যুক্তরাষ্ট্রের পেলসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা হলি গেইটনার, জোয়ান স্মেৎজার, জুলি ব্র্যাডি ও নিন বেল। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তারা ভোট দিয়েছিলেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পকে।
আশা করেছিলেন, ট্রাম্প দেশের গুণগত পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন। কিন্তু দ্রুতই সে আশাভঙ্গ হয় তাদের।
নির্বাচনে জেতার পর ট্রাম্পের তর্জন-গর্জন, সহানুভূতির অভাব ও বিশেষ করে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ায় হতাশ ওই চার নারী।
৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ব্র্যাডি বলেন, ‘আমার স্বামী ও তার পুরো পরিবার ট্রাম্পের সমর্থক। শ্বশুরবাড়িতে আমি সংখ্যালঘু।’
ব্র্যাডির বোন স্মেৎজার বলেন, ‘ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে ভুল করেছি। মনে হয় আমার সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে।’
এই দুই বোনই পেনসিলভানিয়ার ওয়েস্টমোরল্যান্ড এলাকায় থাকেন। অঞ্চলটি ট্রাম্পের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
ওই অঞ্চলের ভোটারদের উদ্দেশ্যে এক টুইটবার্তায় ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘দেশের উপকণ্ঠে বাস করা গৃহবধূরা…বাইডেন আপনাদের অঞ্চল ধ্বংস করে দেবে। শুধু তাই নয়, আপনাদের আমেরিকান স্বপ্নও ধূলিসাৎ করবেন তিনি। আমিই এসব রক্ষা করব।’
এ বিষয়ে দুই বোনকে জিজ্ঞেস করলে চোখ কপালে তোলেন তারা।
স্মেৎজার বলেন, ‘টুইটটি দেখে আমার হাসি পেয়েছে। আমি ও আমার মতো সবাইকে বোকা মনে করেন ট্রাম্প।’
পেনসিলভানিয়ার আরেক নারী গেইটনার বলেন, ‘ট্রাম্পকে আবার ভোট দেব না। সিদ্ধান্তটি এখনও স্বামীকে জানাইনি। কিন্তু দ্রুতই তাকে জানাব।’
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির কথা ভেবেই ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম অর্থনীতি শক্তিশালী হলে মানুষকে আর বেকার থাকতে হবে না।’
করোনাকালের করুণ পরিস্থিতি ও জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ড চিন্তায় পরিবর্তন আনে বলে জানান গেইটনার।
কৃষ্ণাঙ্গ ফ্লয়েডের মৃত্যু ও এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়লে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনে যোগ দেন বেল।
তিনি বলেন, ‘ভেবেছিলাম জিতলে ট্রাম্প শান্ত হবেন, প্রেসিডেন্টসুলভ আচরণ করবেন। কিন্ত তিনি কেবল হতাশই করেছেন।’
সূত্র: সিএনএন