যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের আলোচিত বিচারক রুথ ব্যাডের গিন্সবার্গের মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে নিজ বাড়িতে অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারে আক্রান্ত গিন্সবার্গের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।   যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ পাওয়া দ্বিতীয় নারী বিচারপতি গিন্সবার্গ। তিনি সর্বোচ্চ আদালতের সহযোগী বিচারক ছিলেন।   সাক্ষীদের কড়া প্রশ্নবানে জর্জরিত করা, নাগরিক স্বাধীনতা, প্রজনন অধিকার, মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে প্রদত্ত অধিকার ও আইনের দৃষ্টিতে সমান সুরক্ষা নিয়ে কথা বলা এই বিচারক উদারপন্থী আইকন হিসেবে নজর কাড়েন বিভিন্ন মহলের।   তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। তিনি বলেন, 'গিন্সবার্গের মৃত্যুতে জাতি ঐতিহাসিক মর্যাদাসম্পন্ন এক বিচারককে হারাল। সুপ্রিম কোর্টে আমরা হারালাম বন্ধুবৎসল এক সহকর্মীকে।'   তিনি আরও বলেন, 'আজ আমরা শোকাহত। কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অক্লান্ত ও অটল এক চ্যাম্পিয়নকে (যেভাবে আমরা তাকে চিনি) আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে স্মরণ করবে।'   যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে মৃত্যু হলো গিন্সবার্গের। এ সময়ের মধ্যে তার স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, সেটি এখন আলোচনার কেন্দ্রে।   গিন্সবার্গের মৃত্যুর এ খবরটি নাড়া দিয়েছে উদারপন্থী ও মধ্যপন্থীদের, যাদের শঙ্কা এ সুযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মনোনীত তৃতীয় ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে পারেন সুপ্রিম কোর্টে।   মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা মিচ ম্যাককনেল ট্রাম্পের মনোনীত ব্যক্তির পক্ষে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের ফ্লোরে একটি ভোট পাবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনোনীত ব্যক্তি।'   অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন বলেন, ২০১৬ সালে রিপাবলিকানরা যে নজির স্থাপন করেছে, সেদিক থেকে বিবেচনা করলে রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটের উচিত, গিন্সবার্গের স্থলাভিষিক্ত ঠিক করতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করা।