প্রায় দুই দশকের যুদ্ধের পর আফগানিস্তান সরকারের সঙ্গে ঐতিহাসিক শান্তি আলোচনায় বসেছে তালেবান।
শনিবার কাতারের রাজধানী দোহায় এ আলোচনা শুরু হয়।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, দোহার একটি হোটেলে শনিবার আলোচনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আফগানিস্তানের হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশনের চেয়ারপারসন আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ, তালেবান উপপ্রধান মোল্লা আবদুল গনি বারাদার ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমবারের মতো আপস আলোচনা শুরু হবে সোমবার।
উদ্বোধনী অধিবেশনে আবদুল্লাহ মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী শান্তি নিয়ে কথা বলেন। আফগানিস্তানে মানবিক বিবেচনায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, আমরা একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সততার সঙ্গে শান্তির জন্য কাজ করলে দেশে চলমান দুর্দশার অবসান হবে।'
তালেবান নেতা বারাদার তার বক্তব্যে আফগানিস্তানে 'ইসলামী শাসনব্যবস্থা' কায়েমের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, তারা আফগানিস্তানকে স্বাধীন, উন্নত দেশ হিসেবে দেখতে চান। দেশে এক ধরনের ইসলামী ব্যবস্থা থাকা উচিত, যাতে সব নাগরিক অন্তর্ভুক্ত থাকে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও দুই পক্ষের উদ্দেশে বলেন, 'আপনাদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত অবশ্যই আপনাদেরই নিতে হবে। তিনি শান্তি নিশ্চিতে 'সুযোগ লুফে নেওয়ার' আহ্বান জানান আফগান সরকার ও তালেবানকে।