সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) পর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিয়েছে আরেক আরব দেশ বাহরাইন।
শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে বাহরাইনের এ অবস্থানের কথা জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল খলিফা ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপের পর এ ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, 'এটা সত্যিকার অর্থে ঐতিহাসিক এক দিন।' তিনি মনে করেন, অন্য দেশগুলোও বাহরাইনের পথে হাঁটবে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, বাহরাইনের সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে 'শান্তির নতুন যুগ' শুরু হলো।
যুক্তরাষ্ট্র, বাহরাইন ও ইসরায়েলের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, প্রগতিশীল দুটি সমাজ ও উন্নত দুটি অর্থনীতির মধ্যে সরাসরি সংলাপ ও সম্পর্ক চালুর ফলে মধ্যপ্রাচ্যের ইতিবাচক রূপান্তর অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে এটি এ অঞ্চলে স্থিতি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি বাড়াবে।
আরব দুই দেশের এ সিদ্ধান্তে হতাশ ফিলিস্তিনিরা। তারা মনে করছে, ইউএই ও বাহরাইনের এ উদ্যোগের ফলে দখলকৃত ভূমি থেকে ইসরায়েলের সরে যাওয়া নিয়ে আরব রাষ্ট্রগুলোর দীর্ঘদিনের অবস্থান দুর্বল হবে। একই সঙ্গে এটি আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিনিময়ে ফিলিস্তিনিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র মেনে নেওয়ার বিষয়টিকেও সংকটে ফেলবে।
এক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয় ইউএই। আগামী মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে চুক্তিটি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। চলতি বছরের ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হতে লড়বেন ট্রাম্প।