মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ১৬ জনের। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১২০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৪৯৫ জন। নতুন এসব শনাক্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৭৪ জন ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯২১ জন।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৮ হাজার ২৯৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বর্তমানে। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ২ হাজার ৪৬৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫ হাজার ৮৩১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৯৩ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৩ হাজার ৬৭৯ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫১৪ জন।
তাদের চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লাখ ৩৭ হাজার ৬৮৮ জন। যাদের মধ্যে ঢাকায় ৯০ হাজার ৪৬৯ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৪৭ হাজার ২১৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু চিকিৎসার ব্যাপারে কোনো ঘাটতি নেই। চিকিৎসক, নার্সদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে যথেষ্ট শয্যা রয়েছে। ঢাকার বাইরেও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুর জন্য আলাদা শয্যা তৈরি করা হয়েছে। আমরা নিজেরা স্যালাইন আমদানি করেছি, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আমদানির অনুমোদন দিয়েছি।’
দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ নজরে আসে ২০০০ সালে। এরপর সবচেয়ে ডেঙ্গু বেশি রোগী শনাক্ত হয় ২০১৯ সালে। কিন্তু চলতি বছরে সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড হচ্ছে প্রতিদিনই।