বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদারীপুরে নিজ এলাকা থেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি

  • প্রতিনিধি, মাদারীপুর   
  • ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৫:৪৬

সিভিল সার্জন মুনীর আহমদ খান বলেন, ‘বাড়ির আঙিনায় স্বচ্ছ পানি যাতে জমে না থাকে, সেদিকে সবাইকে নজর দিতে হবে। টানা তিন দিন জ্বর হলে রক্ত পরীক্ষা করে চিকিৎসকের পরামর্শে থাকতে হবে। আর দিন বা রাত যখনই ঘুমাতে যাবেন, তখনই মশারি টাঙাবেন।’

মাদারীপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের বেশির ভাগই নিজ এলাকা থেকে হচ্ছে।

এর আগে কিছুদিন আক্রান্তের হার কমলেও গত কয়েক দিনে বেড়েছে এ সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১৭১ জনে।

মাদারীপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুই হাজার ৪৫ জন। বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছেন ১২৪ রোগী।

আক্রান্তের মধ্যে সদর উপজেলায় হার সবচেয় বেশি। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে শিবচর উপজেলা। এসব এলাকায় অতিরিক্ত এডিস মশার প্রজনন হওয়ায় আক্রান্তের হার বেশি বলে মনে করেন স্থানীয় ও চিকিৎসকরা।

মাদারীপুর সদর উপজেলার পাকা মসজিদ এলাকার নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আমি বাড়িতে থাকা অবস্থায় জ্বরে ভুগছিলাম। পরে স্থানীয় ডাক্তার দেখালেও ভালো হচ্ছিল না। ডেঙ্গু পরীক্ষা করলে পজিটিভ আসে।

‘আমি এলাকার বাহিরে কোথাও যাই না। তার মানে এলাকায় থেকেই আক্রান্ত হচ্ছি। এখন চিন্তা বাড়ির অন্য লোকদেরও আক্রান্তের। তাই এলাকায় মশা নিধন করতে হবে।’

কালকিনি উপজেলার বালীগ্রামের আনোয়ার চৌধুরী বলেন, ‘জ্বর থেকে পরীক্ষা করে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এখন সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। বাড়িতে জ্বর ভালো হচ্ছিল না।

‘এখন এলাকায় ডেঙ্গুর প্রজনন শুরু হয়েছে। তাই এলাকায়ও মশা মারার ওষুধ দিতে হবে। না হলে আগামীতে আরও ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।’

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন মুনীর আহমদ খান বলেন, ‘এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মশার প্রজনন বেশি হয়ে থাকে। এ সময়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বাড়ির আঙিনায় স্বচ্ছ পানি যাতে জমে না থাকে, সেদিকে সবাইকে নজর দিতে হবে। টানা তিন দিন জ্বর হলে রক্ত পরীক্ষা করে চিকিৎসকের পরামর্শে থাকতে হবে। আর দিন বা রাত যখনই ঘুমাতে যাবেন, তখনই মশারি টাঙাবেন।’

‌সি‌ভিল সার্জন আরও বলেন, সরকা‌রি হাসপাতালগু‌লো‌তে যেসব ডেঙ্গু রো‌গীরা আস‌ছে, তার অ‌ধিকাংশই গ্রাম থেকে আসছে।‌ পৌর শহর ছাড়াও গ্রামাঞ্চলে এডিস মশা ছ‌ড়িয়ে পড়েছে। তাই ইউপি চেয়ারম‌্যান ও মেম্বারদের এসব বিষয় নজর দি‌তে হ‌বে।

এ বিভাগের আরো খবর