জনসচেতনতা ও দায়িত্বশীল ভূমিকাই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
পশ্চিম ধানমন্ডির মধুবাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় বুধবার সকালে মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডেঙ্গুর একটি মাত্র উৎস থেকে পুরো এলাকার সবার স্বাস্থ্য হুমকিতে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেন তাপস।
তিনি মশার উৎস হিসেবে বাড়ির ভেতর ও আশপাশে পানি জমে এমন সবকিছুকে চিহ্নিত করেন এবং সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানান।
এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে গৃহীত ও চলমান কার্যক্রম উল্লেখ করে তাপস বলেন, ‘যে বিষয়টি আমাদের এখন সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে সেটি হলো এডিস মশার বিস্তার। সে বিস্তারকে রোধ করার জন্য এই মৌসুমে আমাদের অভিযান চলমান।’
অভিযানের কার্যক্রম আজ থেকে নিজেই সরাসরি তদারকি করছেন জানিয়ে তাপস বলেন, ‘আজকে মধুবাজার এলাকায় আমাদের মশককর্মীরা, আমাদের কর্মকর্তারা ২৬টি ভবন পরিদর্শন করেছেন। আমি নিজে গিয়েও কয়েকটি পরিদর্শন করেছি।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ৭৫টি ওয়ার্ডে এভাবেই অভিযান পরিচালনা হচ্ছে বলে জানান মেয়র।
শুধু চিরুনি অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে নয়, সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পারে মন্তব্য করে তাপস বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছি। আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত ২ হাজার ১৩৩টি স্থাপনা, হোল্ডিং, বাসা-বাড়িতে আমাদের কর্মীরা গিয়েছে।
‘এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩৮টি জায়গায় আমরা লার্ভা পেয়েছি, তবে এই পরিসংখ্যান দিয়ে কোনোভাবেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নির্ণয় করা যাবে না। কারণ একটি জায়গায় যে পরিমাণ লার্ভা হতে পারে বা হওয়ার শঙ্কা থাকে, সেটাই কিন্তু পুরো এলাকায় অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট।’
শুধু বাড়িই নয়, বাড়ির চারপাশে কোথাও পানি জমে লার্ভা সৃষ্টি হয় এমন কিছু না রাখতে এবং প্রতিদিনকার জমা পানি প্রতিদিন ফেলে দিতে ঢাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান মেয়র তাপস।
তিনি বলেন, ‘১০০ ভাগ নির্মূল করতে পারব, এটা আমরা বলি না, কিন্তু জনগণ সচেতন হলে আমরা এটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব।’