করোনা ও উপসর্গ নিয়ে খুলনার তিন হাসপাতালে ১৭ জন ও ময়মনসিংহে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৮ জন, জেলা জেনারেল হাসপাতালে ৫ জন ও গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, এ হাসপাতালে মৃতদের মধ্যে করোনা নিয়ে ৪ ও উপসর্গ নিয়ে ৪ জন মারা গেছে। শনাক্ত হয়ে মৃতদের মধ্যে খুলনার ৩ জন ও বাগেরহাটের ১ জন।
এ ছাড়া ১৩০ শয্যার এ হাসপাতালে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৮০ রোগী ভর্তি ছিল।
যার মধ্যে রেড জোনে ১০৯ জন, ইয়ালো জোনে ৩১, এইচডিইউতে ২০ ও আইসিইউতে ২০ জন। নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪০ জন।
গাজী মেডিক্যালের স্বত্বাধিকারী গাজী মিজানুর রহমান জানান, এই হাসপাতালে মৃত ৪ জনের মধ্য খুলনার ৩ ও বাগেরহাটের ১ জন।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ১৩৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে আইসিইউতে ৯ ও এইচডিইউতে ১১। এক দিনে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৩৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১৭ জন।
জেলা জেনারেল হাসপাতালের মুখপাত্র আবু রাশেদ জানান, মৃত ৫ জনের মধ্যে খুলনার ৩ জন ও বাগেরহাটের ২ জন।
এ হাসপাতালে মোট রোগী রয়েছে ৭০ জন। নতুন ভর্তি হয়েছে ২৪ জন; বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন।
আবু নাসের হাসপাতালের মুখপাত্র প্রকাশ দেব নাথ জানান, এ হাসপাতালে ৪৫ জন রোগী ভর্তি যার মধ্যে আইসিইউতে ১০ জন। তবে এ হাসপাতালে এক দিনে কোনো মৃত্যু হয়নি।
এখানে নতুন ভর্তি হয়েছে ৭ জন; বাড়ি ফিরেছে ২ জন।
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত ৭ জনের মধ্যে ৩ জন করোনা পজিটিভ। অন্যদের মৃত্যু হয় উপসর্গ নিয়ে।
এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে এক দিনে ৫০ জন বাড়ি ফিরেছেন। আর নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৭০ জন।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ফোকাল পার্সন মহিউদ্দিন খান মুন জানান, প্রথমে করোনা ইউনিটের সাধারণ শয্যা ছিল ২১০টি। রোগীর চাপ সর্বোচ্চ বেড়ে যাওয়ায় সোমবার ৩০০টি শয্যা করে তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া ১৩ শয্যার আইসিইউ বৃদ্ধি করে ২২টি করা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম জানান, সোমবার রাতে ৬৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৬৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় আক্রান্তের হার ২৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।