রংপুরে করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুও। হাসপাতালগুলোতে চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
এ অবস্থায় ভলান্টিয়ার চিকিৎসক খুঁজছেন রংপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের প্রধান নুর উন নবী নাহিদ।
নিজের ফেসবুক পেজে রোববার এই আহ্বান জানান তিনি।
নুর উন নবী নাহিদ তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘একটি মানবিক আহবান’
‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আপনি যদি একজন তরুণ চিকিৎসক হয়ে থাকেন তবে নিজেকে ভলান্টিয়ার হিসেবে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীদের সেবায় আত্মনিয়োগ করে মহামারি মোকাবিলায় বিশেষ আবদান রাখতে পারেন, নিজেকে বীরোচিত করতে পারেন।’
রংপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল সূত্র থেকে জানা যায়, ১০০ শয্যার রংপুর শিশু হাসপাতালটি গত বছরের ৯ মে করোনা আক্রান্তদের জন্য ‘রংপুর করোনা আইসোলেশন ডেডিকেটেড হাসপাতাল’ হিসেবে চালু হয়। শুরুতে এখানে ১০ থেকে ২০ জন রোগী থাকলেও, গেল তিন সপ্তাহ থেকে রোগী বাড়ছেই। ১০০ শয্যার এই হাসপাতালে এখন ভর্তি রোগী ১০১ জন। এত সংখ্যক রোগীকে পালাক্রমে চিকিৎসা দিচ্ছেন ২০ জন।
রংপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের প্রধান ডা. নুর উন নবী বলেন, ‘কোনো উপায় নাই। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে হবে। তাদের বাঁচাতে হবে। এ জন্য আপাতত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেই আসবে তাকে আমরা সাদরে গ্রহণ করব। দু-চারজন আসলেও আমরা উপকৃত হব।’
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের ছয় জেলায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। তাদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলার সাত, দিনাজপুরে চার, পঞ্চগড়ে দুই ও লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় একজন করে মৃত্যু হয়েছে।
এ সময়ে ৫৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, শনাক্তের হার ৪৩ শতাংশ। নতুন শনাক্তের মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে ১৩২, দিনাজপুরে ১০৭, রংপুরে ৯৫, গাইবান্ধায় ৫৭, নীলফামারীতে ৫০, কুড়িগ্রামে ৪০, লালমনিরহাটে ৩৯ এবং পঞ্চগড়ে ৩৬ জন রয়েছেন।
এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন ২৩৮ জন।