বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিনোফার্ম-মডার্নার আরও ২৩ লাখ টিকা দেশে

  •    
  • ৩ জুলাই, ২০২১ ০৯:৪৯

চীনের সিনোফার্ম উৎপাদিত টিকা বিবিআইবিপি-করভির আরও ১০ লাখ ডোজ এবং মডার্নার আরও ১৩ লাখ ডোজ শনিবার সকালে দুটি বিশেষ বিমানে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের টিকা বিবিআইবিপি-করভি ও যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার আরও ২৩ লাখ ডোজ দেশে এসেছে।

দুটি বিশেষ বিমানে করে শনিবার সকালে টিকাগুলো হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

এর আগে শুক্রবার রাতেও দুই দফায় দেশে সিনোফার্ম ও মর্ডানার টিকা এসেছে।

বিবিআইবিপি-করভির কেনা টিকার আরও ১০ লাখ ডোজ শনিবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে বিশেষ বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

চীনের টিকা দেশে পৌঁছানোর ২ ঘণ্টা পর বিমানবন্দরে পৌঁছায় কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া মডার্নার ১৩ লাখ টিকা।

মডার্নার টিকা শনিবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বিশেষ বিমানে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

এ নিয়ে মডার্নার মোট ২৫ লাখ টিকা দেশে এলো। আর চীনের ২০ লাখ টিকা এসেছে।

এ নিয়ে শুক্র ও শনিবার দুই দিনে সরকার হাতে পেল আরও ৪৫ লাখ ডোজ টিকা।

এসব টিকা দিয়ে আবারও গণটিকাদান শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এর আগে উপহার হিসেবে দুই দফায় বাংলাদেশকে ১১ লাখ টিকা দিয়েছে চীন।

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ প্রথম আনে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকার চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। তবে ৭০ লাখ পাঠানোর পর সিরাম আর টিকা দিতে পারেনি ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায়।

এর পাশাপাশি ভারত সরকার বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছে মোট ৩৩ লাখ টিকা।

টিকার সংকট কাটাতে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের মধ্যে চলতি সপ্তাহ থেকেই অগ্রগতি দেখা দিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে দুই দিনে ৪৫ লাখ ডোজ টিকা পেল বাংলাদেশ।

এ ছাড়া সরকারের হাতে বর্তমানে ফাইজার, কোভিশিল্ড, বিবিআইবিপি-করভি মিলিয়ে ১৪ লাখ টিকা। এই টিকা দিয়ে আগামী এক মাস টিকা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া যাবে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেয়া প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ মানুষের সংকটও দূর হচ্ছে। জুলাইয়ের মধ্যে এই টিকাও হাতে পাচ্ছে সরকার।

সিরাম ইনস্টিটিউট টিকা দিতে না পারলেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে চালান আসছে। ফলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ যারা নিয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে।

আগামী মাসের মধ্যেই রাশিয়ার তৈরি করোনার টিকা স্পুৎনিক-ভির ৪০ লাখ ডোজ দেশে আসবে বলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা করছে।

গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণটিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। আর গণটিকাদান শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি।

প্রতি মাসে ভারত থেকে আসার কথা ছিল ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে গড়ে ওঠা জোট কোভ্যাক্স থেকে পাওয়ার কথা ছিল সাত কোটির বেশি টিকা।

তবে ভারতে করোনার নতুন ধরনের ব্যাপক বিস্তারে সব পরিকল্পনা ভণ্ডুল হয়ে যায়। নিজ দেশে টিকার চাহিদা মেটাতে সে দেশের সরকার বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানি সিরামকে করোনার টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

এর ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করা টিকা যেমন দেয়া যায়নি, তাই কোভ্যাক্সের টিকা পায়নি বাংলাদেশ। এই বৈশ্বিক উদ্যোগও সিরাম থেকেই টিকা নেয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছিল।

এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২৬ এপ্রিল টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ রাখে। আর সিরামের দ্বিতীয় ডোজও কার্যত বন্ধ হয়ে যায় ঈদের পর।

তবে সিরাম থেকে টিকা প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তার পর সরকার চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করার চেষ্টা করছে। চীন থেকে সরকার তিন থেকে চার কোটি টিকা কেনার কথা বলছে। এর মধ্যে কত টিকা কেনার চুক্তি হয়েছে, সেটি এখনও প্রকাশ হয়নি।

হাতে থাকা টিকা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে আবার গণটিকাদান শুরু করেছে সরকার। ঢাকায় ৪০টি আর বাইরে প্রায় এক হাজার কেন্দ্রে চলছে এই কার্যক্রম।

এ বিভাগের আরো খবর