বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় রেকর্ড ১৪৩ মৃত্যু

  •    
  • ১ জুলাই, ২০২১ ১৮:১৩

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছে, তাদের মধ্যে দুই জন শিশু। এ ছাড়া ত্রিশোর্ধ্ব ১১ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৮ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪২ জন আর ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৭০ জন।

করোনাভাইরাসে রেকর্ড মৃত্যুর চার দিনের মাথায় ২৪ ঘণ্টায় আরও বেশি মৃত্যুতে হলো নতুন রেকর্ড।

শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশে ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১৯ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল গত ২৭ জুন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে জানানো হয়, ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত দেশে মৃত্যু হয়েছে মোট ১৪ হাজার ৬৪৬ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছে, তাদের মধ্যে দুই জন শিশু। এ ছাড়া ত্রিশোর্ধ্ব ১১ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৮ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪২ জন আর ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৭০ জন।

এদের ৯০ জন পুরুষ ও ৫৩ জন নারী।

বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনা বিভাগে। এরপরই রয়েছে ঢাকায় ৩৫ জন।

এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ জন, বরিশাল বিভাগে ৮ জন, সিলেট বিভাগে ৭ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ মৃত্যু হয়েছে।

শনাক্ত কত

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৮ হাজার ৩০১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৫৬৫ ল্যাবে ৩২ হাজার ৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের শতকরা ২৫ দশমিক ৯০ শতাংশের দেহেই পাওয়া যায় ভাইরাসটি।

গত বছরের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর এখন পর্যন্ত যতজন পরীক্ষা করিয়েছেন, তাদের ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশের মধ্যে ভাইরাসটি পাওয়া গেছে।

এখন পর্যন্ত দেশে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৯ লাখ ২১ হাজার ৩০১ জনের দেহে।

গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৬৬৩ জন সুস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৮ লাখ ২০ হাজার ১৩ জন। সুস্থতার হার ৮৯.০৮ শতাংশ।

নতুন করে বিধিনিষেধ

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ভাইরাসটির ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সকাল থেকে শুরু হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ, যেটি পরিচিতি পেয়েছে শাটডাউন হিসেবে।

এর আগেও সরকার ২০২০ সালের ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ও গত ৫ এপ্রিল লকডাউন নামে বিধিনিষেধ দিয়েছিল। তবে এবারের বিধিনিষেধে সরকার যে অনেক বেশি কঠোর, তা স্পষ্ট।

মানুষের অকারণ চলাচল ঠেকাতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনীও। আর যৌক্তিক কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে আসয়ে প্রথম দিন সারাদেশে ৪৯৭ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

দেশে এর আগে ইতালীয়, যুক্তরাজ্য ও নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেলেও ভারতীয় ধরনটিই বেশি ভাবাচ্ছে সরকারকে। এই ধরন মানুষকে দ্রুত অসুস্থ করে দেয়। আর রোগীদের অক্সিজেনের চাহিদাও বাড়িয়ে দেয়।

ভারতে অক্সিজেন সংকটে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনার এই ধরনের কারণে। এরই মধ্যে বাংলাদেশে সাতক্ষীরায় অক্সিজেন সংকটে চার জন রোগীর মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সামগ্রিকভাবে অক্সিজেনের চাহিদার চেয়ে উৎপাদনের সক্ষমতা বেশি।

এ বিভাগের আরো খবর