করোনা থেকে সেরে উঠলেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত বিদেশে পাঠাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।
গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রীর চিকিৎসক বোর্ডের প্রধান ডা. এএফএম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, দেশনেত্রী করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ থেকে মুক্ত হলেও কোভিড পরবর্তী কয়েকটি জটিলতায় ভুগছেন এবং তিনি কোনো মতেই ঝুঁকিমুক্ত নন। উনার লিভার ও অন্যান্য জটিলতার চিকিৎসা বিদেশে কোনো উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে এর সুযোগ কম।’
মির্জা ফখরুল জানান, স্থায়ী কমিটি মনে করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে আরও উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো দরকার। এজন্য দেশনেত্রীর বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করতে এবং তাকে মুক্তি দিতে আহ্বান জানায় কমিটি।
গত ২০ জুন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ফুসফুসসহ নানা জটিলতায় আক্রান্ত খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা হয় বলে জানান মির্জা ফখরুল।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে প্রেরণ দলের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগে বলিনি, উনার পরিবার বিদেশে প্রেরণের কথা বলেছিলে। আমরা এবার পার্টির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রেজুলেশন নিচ্ছি যে, তার বিদেশে চিকিৎসা দরকার। এজন্য যা কিছু সরকারের করা দরকার, সরকারের উচিত ইমিডিয়েটলি করা। তারপরের যে স্টেপগুলো আছে পরবর্তিতে আলাপ-আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ৫৩ দিন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত শনিবার খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরেন।
হাসপাতালে আবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকার কারণে তাকে বাসায় নিয়ে চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেয় ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড।