ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দুই হাজার ১২৩ জন। এতে দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ ছাড়াল। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সরকারি হিসাবে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন লাখ ৫১ হাজার ৩০৯ জনের।
মৃত্যুর সংখ্যার হিসাবে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত। ভাইরাসটিতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় মারা গেছে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ১২ হাজার ৭০১ জন। তার পরই রয়েছে ব্রাজিল, সেখানে চার লাখ ৭৪ হাজার ৬১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এ ভাইরাসে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা ৬৩ দিন পর গত ২৪ ঘণ্টায় এক লাখের নিচে নেমেছে ভারতে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা। এ সময় দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮৬ হাজার ৪৯৮ জনের।
এই সময়ে শনাক্তের হার কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৬২ শতাংশে।
এর আগে ৫ এপ্রিল দেশটিতে করোনা শনাক্ত এক লাখ ছাড়ায়। এরপর পর্যায়ক্রমে বেড়ে যায় শনাক্তের সংখ্যা। এক সময়ে শনাক্ত ছাড়ায় চার লাখ।
দেশটিতে এখন মোট করোনা শনাক্ত হলো দুই কোটি ৮৯ লাখ ৯৬ হাজার ৪৭৩ জনের।
দেশটিতে শুধু নমুনা পরীক্ষা বা শনাক্তের হারই কমেনি। এই সময়ে দেশটিতে টিকাকরণ কিছুটা বেড়েছে। ২৪ ঘণ্টায় টিকা দেয়া হয়েছে ৩৩ লাখ ৬৪ হাজার ৪৭৬ জনকে। এখন পর্যন্ত টিকা দেয়া হয়েছে ২৩ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৭২৬ জনকে।
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয় চলতি গত মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে। তখন থেকেই করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে মৃত্যু।
এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ভারতে দৈনিক চার হাজারের বেশি করে মারা গেছে শুধু করোনায়। এটা সরকারি হিসাব। এর বাইরেও অসংখ্য মানুষ করোনায় মারা গেছে বলে দাবি করেছে বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠন ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এ ছাড়া অক্সিজেন স্বল্পতাতেও বিভিন্ন হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্র রাজ্যে। সেখানে এখন পর্যন্ত এক লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে।
এর পর আছে কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ। এ ছাড়া পাশের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে মারা গেছে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ। অবশ্য পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক করোনা শনাক্ত কমে ছয় হাজারের নিচে নেমেছে।