ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ নিয়ে দেশে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বারডেম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তিন দিন আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেন মঙ্গলবার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তিন দিন আগে বারডেম হাসপাতালে কোভিড পরবর্তী জটিলতা নিয়ে এক রোগী মারা গেছেন। মঙ্গলবার মাইক্রোবায়োলজির প্রাথমিক রিপোর্টে মারা যাওয়া ব্যক্তির নমুনায় মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।’
দেলোয়ার হোসেন জানান, ১৭ মে কোভিড পরবর্তী জটিলতা নিয়ে সাতক্ষীরা থেকে আরও একজন রোগী বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। তার আগে ১১ মে আরও একজন সন্দেহভাজন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।’
তিনি বলেন, ‘এখন যে রোগী ভর্তি আছেন তার শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আছে কি না তা জানতে আমাদের ৭২ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন।’
দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। দেশে ছত্রাকটির প্রতিরোধে ওষুধ প্রস্তুত আছে বলেও জানান তিনি।
- আরও পড়ুন: ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কি ছোঁয়াচে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রতিরোধে যে ধরনের ওষুধ লাগে, সে ওষুধ তৈরিতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন কোম্পানিকে বলা হয়েছে। আমরা বেশ কিছু ওষুধ কোম্পানিকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ তৈরির জন্য আলোচনা করেছি।’
ভারতে মহামারি ঘোষণা করা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস দেশে যাতে ছড়িয়ে না পড়তে পারে সে জন্য সতর্কতা জারি করেছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়।
অধিদপ্তরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বিষয়ে করোনা প্রতিরোধে গঠিত কারিগরি পরামর্শক কমিটিকে বলা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করছেন। তারা একটি পরামর্শ চূড়ান্ত করবেন। এ নিয়ে আমরা কথা বলেছি নিজেদের মধ্যে। এরই মধ্যে আমরা সারা দেশে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছি।
‘আনুষ্ঠানিকভাবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা ব্যবস্থা কেমন হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো হবে।’
দেশে এখন পর্যন্ত দুজন রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও অপ্রয়োজনে কোভিড রোগীকে স্টেরয়েড দেয়ার কারণে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ঝুঁকি বাড়ছে বাংলাদেশেও।