দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬১ জনের প্রাণ গেছে। এই সময়ে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ১ হাজার ৯১৪ জনের শরীরে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দেশে মোট আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৬ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৭০৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৪২০টি ল্যাবে ২১ হাজার ৯৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। সার্বিক শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ।
গত এক দিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৮৭০ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩২ জন। সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৪৬ জন, নারী ২৫ জন। মৃতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। বাকিদের বয়স ত্রিশোর্ধ্ব তিন, চল্লিশোর্ধ্ব দুই, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১১ ও ষাটোর্ধ্ব ৪৪ জন।
বিভাগ অনুযায়ী, ঢাকায় সর্বোচ্চ ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই রয়েছে চট্টগ্রাম। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের; রাজশাহীতে সাত, খুলনায় এক, বরিশাল, সিলেট, রংপুরে দুইজন করে মৃত্যু হয়েছে এবং ময়মনসিংহে একজন মারা গেছেন।
দেশে করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বেশি প্রাদুর্ভাব ঘটে গত এপ্রিলে। মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে সবচেয়ে ভয়াবহ মাস ছিল এপ্রিল।
এই মাসে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ২ হাজার ৪০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিনে মারা গেছেন ৮০ জন। এই মাসে ১ লাখ ৪৭ হাজার জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে।
আগে এক মাসে সর্বাধিক রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের জুন মাসে ৯৮ হাজার ৩০৩ জন। এর আগে এক মাসে সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছিল গত বছরের জুলাই মাসে, সেই সংখ্যাটি এপ্রিলের সংখ্যার প্রায় অর্ধেক।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছরের ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।