বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেড়েছে গড় আয়ু, কমেছে মা ও শিশুমৃত্যুর হার

  •    
  • ২ মে, ২০২১ ১৬:২৬

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের প্রাক্কালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৬ দশমিক ৫ বছর। তা ১৯৯৬ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৬২ দশমিক ২ বছর। আর বর্তমানে আরও বেড়ে হয়েছে ৭৩ বছর।

স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৪৬ দশমিক ৫ বছর থেকে বেড়ে হয়েছে ৭০ বছর। এ সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে মা ও শিশুমৃত্যুর হার।

মৌলিক চিকিৎসা, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের মাধ্যমে মানুষের আয়ু বৃদ্ধির সঙ্গে মা ও শিশুর মৃত্যু অনেকাংশে রোধ হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রোববার এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধে সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য উপস্থাপন করেন।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু অনেক বেড়েছে। কমেছে শিশুমৃত্যুর হার। টিকাদান কর্মসূচির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলেছে। আমাদের স্বাস্থ্যের অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে অনেক।’

গড় আয়ু বৃদ্ধির পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা অর্জনের প্রাক্কালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৬ দশমিক ৫। তা ১৯৯৬ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৬২ দশমিক ২। আর বর্তমানে আরও বেড়ে হয়েছে ৭৩ বছর। এটা আমাদের দেশের বড় অর্জন।’

শিশুমৃত্যুর হার কমের পরিসংখ্যান নিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ছিল প্রায় ২০০-এর কাছাকাছি। এটা বর্তমানে কমে প্রতি হাজারে ৫০-এর নিচে আনা সম্ভব হয়েছে। যেভাবে কমে আসছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে আমাদের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রায় ২০৩০ সালে পৌঁছাতে পারব।’

মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে আনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত বছরের ডিসেম্বরে প্রতি হাজারে ৪০০ জন মা সন্তান জন্ম দেয়ার সময় মারা যেতেন। তা কমে বর্তমানে ২০০-এর নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

‘অপুষ্টি হ্রাস পেয়েছে। আমরা প্রতিটি ধাপে উন্নতি লাভ করেছি। ১৯৯৬ সালে শতকরা ২১ শতাংশ শিশু পুষ্টিহীনতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করত। তা কমে বর্তমানে ৮ শতাংশে নেমেছে।’

গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে অধ্যাপক নাসিমা বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে মাঠ পর্যায়ের মানুষের সেবা দেয়া হচ্ছে। দেশের সব মানুষের সেবা নিশ্চিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য ক্লিনিক তৈরি হয়েছে। সেসব ক্লিনিকে বহির্বিভাগ ও অন্তবিভাগে সেবা দেয়া হচ্ছে। ছুটির দিনেও এসব সেবা দেয়া হয়।

দেশে চিকিৎসার প্রসার বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আর দেশের মানুষের বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয় না। বাংলাদেশে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। দেশীয় চিকিৎসার প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে।

ভার্চুয়াল সভায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।

এ বিভাগের আরো খবর