বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যেখানে মিলবে অক্সিজেন

  •    
  • ২৯ এপ্রিল, ২০২১ ১৩:৪০

‘অক্সিজেন ব্যাংক’, ‘করোনায় তারুণ্য’, ‘জয় বাংলা অক্সিজেন’, ‘সংযোগ’, ‘মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’, ‘ব্লাড কানেকশন’, ‘পে ইট ফরোয়ার্ড বাংলাদেশ’, ‘সংযোগ কানেক্টিং পিপল’ নামে উদ্যোগ আর পুলিশ বাহিনীও দুশ্চিন্তার এই সময়ে মানুষের সহায় হয়েছে। কেবল রাজধানী ঢাকা নয়, দেশের বিভিন্ন জেলা শহরেও এই উদ্যোগ চালু হয়েছে।

করোন‍াভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় অক্সিজেনের জন্য মানুষের দুশ্চিন্তা যেমন বেড়েছে, তেমনি আবার অক্সিজেন সুবিধা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বেশ কিছু সংগঠন।

ফোন করলেই তারা বাসায় এসে দিয়ে যাচ্ছে সিলিন্ডার। এ জন্য বেশিরভাগই কোনো টাকাও নিচ্ছে না। তবে বহু প্রতিষ্ঠান আছে যারা সিলিন্ডার ভাড়া দিচ্ছে, কেউ চাইলে সিলিন্ডার কিনতেও পারেন।

তবে একজন বক্ষব্যাধি চিকিৎসক জানিয়েছেন, রোগীর অক্সিজেন লাগলে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেয়া ভালো।

‘অক্সিজেন ব্যাংক’, ‘করোনায় তারুণ্য’, ‘জয় বাংলা অক্সিজেন’, ‘সংযোগ’, ‘মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’, ‘ব্লাড কানেকশন’, ‘পে ইট ফরোয়ার্ড বাংলাদেশ’, ‘সংযোগ কানেক্টিং পিপল’ নামে উদ্যোগ আর পুলিশ বাহিনীও দুশ্চিন্তার এই সময়ে মানুষের সহায় হয়েছে।

কেবল রাজধানী ঢাকা নয়, দেশের বিভিন্ন জেলা শহরেও এই উদ্যোগ চালু হয়েছে।এক বছর আগে বিনামূল্যে ছাত্রলীগের তিন জয়বাংলা অক্সিজেন সেবা চালু করেন। বর্তমানে ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, ময়মনসিংহ শহরে চলছে এই সেবা৷ তাদের ৯০টি সিলিন্ডার দিয়ে এ পর্যন্ত ছয় হাজার করোনা রোগীকে সেবা দেয়া হয়েছে।

সকাল-বিকাল বা মধ্য রাত নেই। যে কোনো সময় ফোন করলেই সিলিন্ডার নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব হাজির হয়ে যান ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এর বিনিময়ে কোনো টাকা তারা নেন না, এমনকি ভাড়াও না।

ছাত্রলীগের জয়বাংলা অক্সিজেন পেতে হলে এই নম্বরে ফোন করলেই চলবে

আর্থিক সহযোগিতাও করা যায় না এই উদ্যোগে। তবে কেউ চাইলে অক্সিজেনের সিলিন্ডার ভরে দিলে আপত্তি করেন না উদ্যোক্তারা।

জয় বাংলা অক্সিজেন পেতে ফোন করতে হবে: ০১৭২৫৩৪৩০৩৮; ০১৮৩৬৩৭৪৯২১; ০১৭১১১৭৩৪০৫ নম্বরে।

স্বেচ্ছায় রক্তদানে সামাজিক উদ্যোগ ‘ব্লাড কানেকশন’ এক সপ্তাহ আগে নিয়ে এসেছে ‘অক্সিজেন ব্যাংক’। করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে না পারলে নির্ধারিত নিয়মে আবেদন করলেই বাসায় পৌঁছে দেন স্বেচ্ছাসেবীরা।

সংগঠনের ফাউন্ডার ও প্রেসিডেন্ট কামরুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যাদের অক্সিজেন প্রয়োজন হয় হটলাইন নম্বরে ফোন দিলেই রাজধানীজুড়ে এই সেবা মিলছে।’

ব্লাড কানেকশন’ এর অক্সিজেন পেতে ফোন করতে হবে: ০১৬০৯২৯৩৪৬০ ও ০১৬০০১৯৩৫৬০ নম্বরে।

বেসরকারি সংগঠন ‘পে ইট ফরোয়ার্ড বাংলাদেশ’ এর উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী নিয়ে গত বছর চালু হয় ‘অক্সিজেন ব্যাংক’। তাদের কাছে ১৮০টি সিলিন্ডার রয়েছে। রাজধানীর ঢাকার মধ্যে এই সেবা দেয়া হয়।তবে অন্য দুটির মতো এই সেবা সবার জন্য বিনা মূল্যে নয়। যারা সামর্থ্য রাখেন, তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন সংগঠনটি পরিচালক আবু বকর।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সেবা পেতে অক্সিজেনের ৫০০ টাকা মূল্য দিতে হয়। এটা তিন দিনের জন্য দেয়া হয়। তিন দিনের বেশি সময় থাকলে যাদের সামর্থ্য তাদের থেকে বাড়তি টাকা নেয়া হয়। তবে গরিব মানুষদের থেকে বাড়তি কোনো টাকা নেয়া হয় না।’

এখন পর্যন্ত ঢাকায় সেবা দেয়া হলেও সারা দেশেই সেবা দিতে চান বলেও জানিয়েছেন আবু বকর।

‘পে ইট ফরোয়ার্ড বাংলাদেশ’ এর অক্সিজেন পেতে ফোন করতে হবে: ০১৮৭৩৮৫২৩২০, ০১৮৭৩৮৫২৩২১ নম্বরে।

‘সংযোগ কানেক্টিং পিপল’ নামে সংগঠনটি রাজধানীর পাশাপাশি সাভার, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, সিলেট, মৌলভীবাজার, পটুয়াখালী, নওগাঁ, পঞ্চগড়, বগুড়ায় রোগীদের বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দিচ্ছে।

করোনার সংক্রমণ শুরু হলে গত বছরের মার্চে জন্ম নেয় সংগঠনটি। বর্তমানে তারা ৩২০টা সিলিন্ডার দিয়ে সেবা দিচ্ছে। সঙ্গে আছে ১৫টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন।

এই উদ্যোগ নিয়ে আসা আহমেদ জাভেদ জামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্টে ভুগছে অসংখ্য মানুষ। মানুষকে যেন শ্বাসকষ্ট পেতে না হয়, তাই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। সংযোগের এ কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছে প্রায় শতাধিক তরুণ, যাদের বেশিরভাগই করোনায় চাকরি হারিয়েছেন।

‘ভোর রাত পর্যন্ত তারা মানুষের বাড়ি বাড়ি অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছেন। আমরা এই সব তরুণকে অভিনন্দন জানাই। দেশের বিপদে দেশের পাশে দাঁড়ানোই সবচেয়ে বড় কাজ।’

সংযোগ কানেক্টিং পিপল’ এর অক্সিজেন পেতে ফোন করতে হবে: ০১৫১৫৬১৯৯১৪, ০১৭৭১৯৮২৬৬৯ নম্বরে।

সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আলহাজ্ব মোস্তফা-হাকিম ফাউন্ডেশন ৫০০ সিলিন্ডার নিয়ে চালু করেছে অক্সিজেন সেবা। এরা শুধু চট্টগ্রামে সেবা দেয়।

অক্সিজেন সিলিন্ডার নিতে প্রয়োজন হচ্ছে শুধু পরিচয়পত্র। রোগীর প্রয়োজন হলে একাধিকবার অক্সিজেন সিলিন্ডার দিচ্ছে তারা।

ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ সরওয়ার আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের মতো এবারও এ সেবা চালু করেছি। আমাদের ৫০০ সিলিন্ডার আছে, যেগুলো আমাদের ফ্যাক্টরি থেকে রিফিল করা হয়। এছাড়া কেউ যদি সিলিন্ডার রিফিল করতে চান, তাদেরও বিনা মূল্যে রিফিল করে দেয়া হবে।’

আলহাজ্ব মোস্তফা-হাকিম ফাউন্ডেশনের অক্সিজেন পেতে ফোন করতে হবে: ০১৭২০৮১৮৫০৯, ০১৮৪২৫৫২৫৯০ নম্বরে।

পুলিশের উদ্যোগ

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ ১৮ এপ্রিল থেকে নগরের ১৬টি থানায় বিনা মূল্যে অক্সিজেন সেবা চালু করেছে। এ সেবার জন্য থানাগুলোয় এখন ৪৮টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। সেটি আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

চট্টগ্রামে পুলিশের অক্সিজেন পেতে ফোন করতে হবে: ০১৭১৩-৩৭৪৬৫৩ নম্বরে।

১৫ এপ্রিল ২২টি সিলিন্ডার নিয়ে সেবা চালু করে বরিশাল মহানগর পুলিশ। সিলিন্ডারের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে সেদিনই জানিয়েছেন মহানগর পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান।

ফোন করলে পুলিশ সদস্যরাই রোগীদের বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দিচ্ছেন। ব্যবহার শেষে পুলিশ সদস্যরাই তা সংগ্রহ করে নিচ্ছেন।

গত ১৫ এপ্রিল চালু হয় বরিশাল মহানগর পুলিশের ফ্রি অক্সিজেন সেবা

বরিশালে পুলিশের অক্সিজেন পেতে হলে সেবাকেন্দ্রের ০১৩২০০৬৪১০২ ও বিএমপি কন্টোল রুমের ০১৩২০০৬৬৯৯৮ এ নম্বরে ফোন করলেই হবে।

নোয়াখালীর ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক এসএম কামরুল হাসান ১০টি সিলিন্ডার দিয়ে চালু করেন ‘নোয়াখালী পুলিশ কোভিড অক্সিজেন ব্যাংক।’ পরে এগিয়ে আসেন পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন। এখন সিলিন্ডারের সংখ্যা বেড়ে এখন হয়েছে ৪৫টি। এ সংখ্যা আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

অক্সিজেন ব্যাংকের তত্ত্বাবধায়ক এস এম কামরুল হাসান বলেন, ‘মোবাইল কল দিলেই অর্থ ছাড়া আমরা পৌঁছে দিচ্ছি অক্সিজেনের সিলিন্ডার। বর্তমানে আমাদের এ সেবা জেলার গণ্ডি পেরিয়ে এখন পাশের জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লার রোগীরাও পাচ্ছেন।’

‘নোয়াখালী পুলিশ কোভিড অক্সিজেন ব্যাংক’এর অক্সিজেন পেতে হলে ফোন করতে হবে: ০১৭১১২০২০২৪, ০১৭৩৬০০০৫০৬ নম্বরে।

ভাড়ায় মিলছে সিলিন্ডার

কেউ চাইলে এক সপ্তাহের জন্য সিলিন্ডার ভাড়া নিতে পারেন। এ জন্য তাকে পরিশোধ করতে হয় সাড়ে তিন হাজার টাকা।দুই সপ্তাহ রাখতে চাইলে টাকা একটু বেশি লাগে। তখন দিতে হয় সাড়ে সাত হাজার টাকা। মুলত এসব প্রতিষ্ঠান উৎপাদন কোম্পানির কাছ থেকে অক্সিজেন কিনে বিক্রি করে।ঢাকায় এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা শুধু একটি পেজ খুলে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আছেন। এছাড়া অ্যাজমা, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য দীর্ঘদিন ধরে অক্সিজেনের সিলিন্ডার ভাড়া দিচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। গত বছর করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর এই খাতের পরিসর বেড়েছে।

নোয়াখালী পুলিশের অক্সিজেন সেবা চালু হয়েছে এক পরিদর্শকের উদ্যোগে। পরে পুলিশ সুপার বাড়ান হাত

ফেসবুক ও অনলাইনভিত্তিক উদ্যোগ অক্সিজেনসিলিন্ডারবিডি, অক্সিজেনবিডি, মেডিশপ ডটকম, লিনডে ডটকমডটবিডি, সিসমার্ক লিমিটেডসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নেয়া যায় এই সেবা।এসব প্রতিষ্ঠানের দাবি, ঢাকা শহরের ভেতরে দুই ঘণ্টার মধ্যে অক্সিজেন সেবার ফুল প্যাকেজ বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

এই প্যাকেজের মধ্যে আছে বিওসি লিনডে অক্সিজেন সিলিন্ডার, অক্সিজেন ট্রলি, ফ্লো মিটার ও মেডিক্যাল মাস্ক।

এমনই একটি প্রতিষ্ঠান ইওরকেয়ার ডটকম। প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা নিজের নাম রায়হান জানিয়ে বলেন, তাদের ৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। তাদের মতো প্রায় শতাধিক কোম্পানি রয়েছে ঢাকা শহরে।

অক্সিজেনের ব্যবসায় কারা

দেশে দীর্ঘদিন ধরে সিলিন্ডার অক্সিজেন ও অন্য গ্যাসীয় পদার্থের ব্যবসায় যুক্ত আছে স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিডেট, লিনডে গ্রুপ লিমিটেড, মেঘনা গ্রুপ, ইসলাম গ্রুপসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, গ্যাসের সিলিন্ডার অনেকটাই আমদানি নির্ভর। অক্সিজেন সিলিন্ডার সাধারণত আমদানি হয় চীন ও ভারত থেকে।

ইসলাম অক্সিজেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বদরুদ্দীন আল হোসাইন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাতেগোনা কিছু কোম্পানি অক্সিজেন সিলিন্ডার আমদানি করে সাধারণ চাহিদা মেটায়। তবে গত এক মাসে অক্সিজেনের চাহিদা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেড়েছে।’

চাহিদা বাড়লেও কোম্পানি পর্যায়ে আগের চেয়ে দাম বাড়েনি দাবি করে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে খুচরা বাজারে দাম বাড়ানো হয়েছে।’

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অক্সিজেন ব্যবহার নয়

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও সহায়তা ছাড়া অক্সিজেন ব্যবহার না করতে বলছেন বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অনেকে অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার কিনে বাড়িতে রেখেছেন। কখন, কীভাবে, কতটুকু অক্সিজেন দিতে হবে, তা সঠিকভাবে না জানা থাকলে বড় ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। অক্সিজেন অকারণ ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে বিপদ আরও বাড়তে পারে।’

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া রোগীদের অক্সিজেন না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ আজিজুর রহমান

তিনি জানান, একজন সুস্থ–সবল মানুষের রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ সাধারণত ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশের মধ্যে থাকে। করোনা আক্রান্ত কোনো কোনো রোগীর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। তখন অক্সিজেন দেয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে।

‘রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা দেখার জন্য পালস অক্সিমিটার যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। এই যন্ত্রে যদি দেখা যায় অক্সিজেনের মাত্রা কম, তাহলে কাছের কোনো হাসপাতালে যেতে হবে বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কিছুতেই নিজে নিজে অক্সিজেন নেয়া যাবে না। কারণ, একেক রোগীর ক্ষেত্রে অক্সিজেনের মাত্রা ও প্রয়োগপদ্ধতি একেক রকম হতে পারে’-বলেন এই বিশেষজ্ঞ।

দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি

অক্সিজেন সিলিন্ডারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে খুচরা পর্যায়ে বাড়ানো হয়েছে দাম। এক মাস আগেও ১৪ লিটারের একটি সিলিন্ডারের দাম ছিল ১০ হাজার টাকা। এখন তা বাজার ভেদে ২২ থেকে ২৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লিনডে বিডির কারখানা থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

আনোয়ার হোসোন প্রায় দুই যুগ ধরে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবসায় জড়িত। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এমন অনেক মানুষ অক্সিজেন কিনে রেখে দিচ্ছে, যাদের আসলে অক্সিজেনের প্রয়োজন নেই। এ কারণেই সংকট তৈরি হয়েছে। এক মাস আগেও আমি দিনে ৩০টির মতো অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি করেছি, এখন প্রতিদিন অন্তত ১০০ মানুষ কিনতে আসছে।’

মিরপুরের বাসিন্দা আরিফ হোসেন তার করোনা আক্রান্ত বাবাকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত ৫ দিন বাবা করোনা আক্রান্ত হয়ে বাসায় আছেন। এ সময় করোনা আক্রান্ত হলে শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। যে কারণে ভয় থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনতে এসেছি। তবে দাম অনেক বেশি, ১৪ লিটারের একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম রেখেছে ২৬ হাজার টাকা।’

এ বিভাগের আরো খবর