শসা খেতে কে না পছন্দ করে। বিশেষ করে সালাদ তৈরিতে শসা অতি আবশ্যকীয় একটি উপাদান। বাজারে প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায় সবজিটি এবং দামও নাগালের মধ্যে।
ওজন কমনোর ক্ষেত্রে শসা বেশ কার্যকরী। এতে ৯০ শতাংশেরও বেশি পানি রয়েছে। ক্যালরি নেই বললেই চলে।
শসায় আছে ভিটামিন এ, বি ও সি। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শসায় উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন আছে, যা ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে।
চোখের জ্যোতি বাড়ায় শসা। ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ প্রতিরোধেও শসার ভুমিকা আছে।
শসা একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার। এতে কিছু পরিমাণ মিনারেলস ও আঁশ রয়েছে। যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে তাদের খাদ্য-তালিকায় শসা রাখা প্রয়োজন।
রূপচর্চার কাজে লাগে শসা।শসার টুকরো ছেঁচে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে দিন। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন এটি। ত্বক মসৃন,কোমল হবে।
তিন টেবিল চামচ শসার রসের সঙ্গে এক টেবিল চামচ দুধের সর মিশিয়ে গলা ও মুখের ত্বকে মাখুন। পনেরো মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বকের প্রাণ ফেরাবে।
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ দেখা যায় বেশি। তিন টেবিল চামচ শসার রসের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ বেসন ও এক টেবিল চামচ বাটার মিল্ক মেশান। এরপর এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে ত্বকে মাখিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দূর হবে ত্বকের অতিরিক্ত তেল।
রোদে পোড়া ত্বকের ক্ষেত্রে এক টেবিল চামচ শসার রসের সঙ্গে এক টেবিল চামচ ডিমের সাদা অংশ ও এক টেবিল চামচ দই মিশিয়ে ত্বকে মাখিয়ে নিন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
চোখের নিচে কালো দাগ দুর করতে চান? তাহলে ফ্রিজের ঠান্ডা শসা কেটে চোখের ওপর দিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। নিয়মিত ব্যাবহারে কমে যাবে কালো দাগ।
জেনে রাখুন
একটি শসায় পানির পরিমাণ প্রায় ৯৫ শতাংশ। প্রতি ১০০ গ্রাম শসায় ২০ ক্যালরি থাকে, আমিষের পরিমাণ ০.৬ গ্রাম, শ্বেতসার ২.৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৮ মিলিগ্রাম, লৌহ০.২ মিলি গ্রাম এবং ক্যারোটিন ৪০ মাইক্রোগ্রাম।