আমাদের দৈনন্দিন খাবারের একটি বড় অংশ জুড়ে আছে চিনি। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত খাবারের অন্যতম উপাদান হচ্ছে চিনি।
স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের মতে, চিনি শরীরের জন্য খুবই অপকারী। দেহের বিভিন্ন রোগের সূত্রপাতের সঙ্গে চিনিযুক্ত খাবারের যোগাযোগ উঠে এসেছে বিভিন্ন গবেষণা।
সম্প্রতি নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে নানা রোগে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ মারা যান।
সংক্রামক রোগে যত মানুষ আক্রান্ত হন, তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ অসুস্থ হন চিনির বিষক্রিয়ায়।
তবে চিনির যতই বদনাম থাকুক, কিছু উপকারিতাও রয়েছে। এটি ছাড়া আপনার শরীর ঠিকভাবে কাজ করবে না
বিশেষজ্ঞদের মতে, মস্তিষ্কের জন্য প্রতিদিন যে ৪০০ ক্যালোরি প্রয়োজন হয়, তার এক চতুর্থাংশের জোগান আসতে পারে চিনি থেকে।
চিনি শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। যখন শরীরে চিনির ঘাটতি হয়, শক্তি কমে যায়।
চিনি নিম্ন রক্তচাপকে স্বাভাবিক হতে সাহায্য করে। যাদের নিম্ন রক্তচাপ আছে তাদের উচিত সবসময় চিনি বা চিনিযুক্ত খাবার সঙ্গে রাখা।
দেহের কোনো জায়গা কেটে বা ছিলে গেলে চিনির প্রলেপ দিন। অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কাজ করবে।
বিষণ্ণতা দূর করতে সাহায্য করে চিনি।
চিনি ত্বকের মরা কোষ দূর করে ও ত্বককে উজ্জ্বল করে। চিনি ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে হাত ও পায়ে ভাল করে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল এবং ত্বকের মরা কোষ দূর হবে।চিনি শুধু মানুষকে শক্তি জোগায় না, এটি ফুলকেও তাজা রাখতে সাহায্য করে। তিন টেবিল চামচ চিনি এবং দুই টেবিল চামচ ভিনেগার পানির সঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এর পর ফুলের ওপর ছিটিয়ে দিন। চিনি ফুলকে সতেজ রাখবে এবং ভিনেগার ফুলের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করবে।ব্লেন্ডার, কফি মেকার, জুস মেকারের যে কোনো দাগ দূর করতে চিনি বেশ কার্যকর।
বিস্কুট মচমচে রাখতে সাহায্য করে চিনি। বয়ামে বিস্কুট রেখে এর মধ্যে চিনির কিউব দিয়ে মুখ ভালো করে বন্ধ করুন। বিস্কুট মচমচে থাকবে।
অনেক সময় কাপড়ে লেগে থাকা কালির দাগ উঠতে চায় না। এ ক্ষেত্রে গরম পানির মধ্যে চিনি মিশিয়ে দাগের ওপর মেখে এক ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, কাপড়ের দাগ দূর হয়ে যাবে।
অনেক সময় গাড়ির নানা কাজে হাতে গ্রিজ বা কালি লেগে যায়। এসব খুব সহজে যেতে চায় না। তরল সাবানের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে ভালো করে ঘষে হাত ধুয়ে ফেলুন। এক নিমেষেই দূর হয়ে যাবে।
সূত্র: দি ইনডিপেনডেন্ট ও রিডার্স ডাইজেস্ট