অল্প সময়ের মধ্যে ওজন কমানোর লক্ষ্যে অনেকে বিভিন্ন ধরনের ডায়েট শুরু করেন। এদের মধ্যে কিটো ডায়েট, মেডিটেরেনিয়ান ডায়েট, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বেশ জনপ্রিয়।
নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়া ও দিনের বাকিটা সময় উপোস থাকাকে মূলত ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বলে।
সম্প্রতি জামা ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওজন কমাতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কার্যকর পদ্ধতি নাও হতে পারে। এতে ওজন না কমে বরং পেশীক্ষয় হতে পারে। এ ছাড়া ফ্যাট মাস, লিন মাস, গ্লুকোজ লেভেলে পরিবর্তন আনে এই পদ্ধতি।
তিন মাস ধরে ১৮ থেকে ৬৪ বছরের ১১৬ জন স্থূল ব্যক্তিদের নিয়ে এ গবেষণা করা হয়। তাদের তিন বেলা খাবার গ্রহণ ও সীমিত সময়ের ভেতর খাবার গ্রহণ-এই দুই দলে ভাগ করা হয়। প্রথম দলকে তিন বেলা নির্ধারিত সময়ে ও দ্বিতীয় দলকে দুপুর ১২ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার খেতে বলা হয়।
গবেষকেরা পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখেন, বেঁধে দেয়া সময়ে খাবার গ্রহণ করা ব্যক্তিদের তুলনায় যারা সারাদিন ধরে খাবার গ্রহণ করেছেন, তারা কার্যকর ফল পেয়েছেন।
পুষ্টিবিদ শিল্পা অরোরা এনডি বলেন, ‘ওজন নিয়ন্ত্রণ সঠিক পদ্ধতিতে করা উচিত। স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য সবার যথাযথ নির্দেশনা মেনে চলা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘পুষ্টির বিষয়টি বাদ দিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি বাছাই করা ঠিক না। এতে পেশীক্ষয়, প্রোটিন ঘাটতিসহ আরো অনেক দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হতে পারে।
সূত্র: এনডিটিভি