বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাবেক ডিসি সুলতানাসহ ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রিট

  •    
  • ২৩ আগস্ট, ২০২১ ২১:১৭

ভুক্তভোগী সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন। তার পক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, সাংবাদিক আরিফুলকে নির্যাতনের অভিযোগে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তারা জামিন নেননি। এখনও তারা আইনের দৃষ্টিতে পলাতক। এরপরও তাদের একজনকে পদায়ন করা হয়েছে।

কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক সাংবাদিককে সাজা দেয়া এবং নির্যাতনের ঘটনায় জেলার সে সময়ের প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীনসহ তিন কর্মকর্তাকে পদায়ন না করতে এবং অপর কর্মকর্তার পদায়ন স্থগিত চেয়ে রিট হয়েছে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন। রিটে তার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আছেন ইশরাত হাসান।

ইশরাত হাসান বলেন, সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে নির্যাতনের অভিযোগে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তারা জামিন নেননি। এখনও তারা আইনের দৃষ্টিতে পলাতক। এরপরও তাদের একজনকে পদায়ন করা হয়েছে।

তিনি জানান, সাংবাদিককে নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনসহ চার কর্মকর্তাকে শাস্তির সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সব মিলিয়ে পুরো ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ১৩ মার্চ মধ্যরাতে জেলা প্রশাসনের লোকজন সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন।

পরে আরিফুলকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে ‘আধা বোতল মদ ও দেড় শ গ্রাম গাঁজা’ তার বাড়িতে পাওয়া গেছে বলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। তখন এক রিটের শুনানি নিয়ে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলার সব কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্ট।

সেই সঙ্গে কুড়িগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক, তিন ম্যাজিস্ট্রেটসহ অজ্ঞাত ৩৫-৪০ জনের বিরুদ্ধে থানায় করা আরিফুলের অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহণেরও নির্দেশ দেয় আদালত।

অন্যদিকে ঘটনাটি তদন্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তদন্তে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামে মধ্যরাতে আরিফুল ইসলামের বাসা থেকে আধা বোতল মদ ও গাঁজা উদ্ধার এবং তাকে সাজা দেয়ার বিষয়টি পুরোপুরি সাজানো ছিল বলে উঠে আসে।

পরে তৎকালীন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, আরডিসি নাজিম উদ্দিন এবং দুই সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এসএম রাহাতুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়।

ডিসি সুলতানাকে জনপ্রশাসনে ন্যস্ত করা হলেও কোনো পদে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। আরডিসি নাজিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। রাহাতুল ইসলাম বর্তমানে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনারের দায়িত্বে রয়েছেন। রিন্টু বিকাশ চাকমাও এখন কোনো দায়িত্বে নেই।

সম্প্রতি ওই ঘটনায় চার কর্মকর্তাকে শাস্তির সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

শাস্তি হিসেবে দুই বছর সুলতানা পারভীনের বেতন বাড়ানো স্থগিত রাখার সুপারিশ করেছে মন্ত্রণালয়।

আর তৎকালীন রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) নাজিম উদ্দিনের পদাবনতির সুপারিশ করা হয়েছে। এনডিসি এসএম রাহাতুল ইসলামের তিন বছর বেতন বাড়বে না। এ ছাড়া, সেই রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করা সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমাকে চাকরিচ্যুত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর