চট্টগ্রামের আলোচিত মিতু হত্যার ঘটনার আগের মামলার যাবতীয় আলামত ও নথি জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালত সোমবার বিকেল ৪টার দিকে এই আদেশ দেন।
মিতু হত্যা মামলার আসামি তার স্বামী ও চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মিতু নিহতের ঘটনায় তার স্বামী বাবুলের করা হত্যা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই। পরবর্তীতে বাবুলকেই আসামি করে মিতুর বাবা নতুন আরেকটি হত্যা মামলা করেন।
আগের মামলার নথিতে গ্রেপ্তার আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও বিভিন্ন আলামত রয়েছে। সেগুলো নতুন মামলার জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ বলে জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করে সেগুলো হেফাজতের আদেশ দিয়েছে।
শেখ ইফতেখার আরও জানান, বাবুলকে আসামি করে হওয়া মামলার কাগজপত্র তার আইনজীবীকে দেয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
মিতুকে হত্যার অভিযোগে বাবুলের বিরুদ্ধে গত ১২ মে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। সেদিনই বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষের পর থেকে কারাগারে আছেন চট্টগ্রামে সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা।
চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। সে সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল আকতার।
হত্যার পর চট্টগ্রামে ফিরে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে তিনি মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
এরপর এই হত্যায় বাবুলের সম্পৃক্ততা নিয়ে গণমাধ্যমে নানা তথ্য উঠে আসে। একপর্যায়ে বাবুল পুলিশের চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন।
ঘটনার পাঁচ বছর পর ওই মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই হঠাৎ বাবুলকে ঢাকা থেকে ডেকে নেয় চট্টগ্রাম। মিতুর বাবাকেও নেয়া হয়।
পিবিআই বাবুলের করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। এর পরেই বাবুলকে আসামি করে মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।
১২ মে পাঁচলাইশ থানায় করা মামলায় বলা হয়, বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে মিতুকে হত্যা করা হয়েছে।