বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বর্ণবার আত্মসাৎ: ডিবির বরখাস্ত ওসি তৃতীয় দফায় রিমান্ডে

  •    
  • ২২ আগস্ট, ২০২১ ১৯:২৭

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, ‘ওসি সাইফুলকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাকে আবার তিনদিনের রিমান্ডে পেয়েছি। এবার জিজ্ঞাসাবাদে আশা করি বাকি পাঁচটি স্বর্ণবার উদ্ধার করতে পারব।’

চট্টগ্রামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০টি স্বর্ণবার নিয়ে আত্মসাতের ঘটনায় ফেনী পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তৃতীয় দফায় রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আব্দুল্লাহ খান রোববার বেলা তিনটার দিকে সাইফুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন গ্রহণ করেন।

এর আগে ১৯ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক গোলাম জিলানী নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, ‘ওসি সাইফুলকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাকে আবার তিনদিনের রিমান্ডে পেয়েছি। এবার জিজ্ঞাসাবাদে আশা করি বাকি পাঁচটি স্বর্ণবার উদ্ধার করতে পারব।’

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার নুরুন্নবী নিউজবাংলাকে জানান, গত ৮ আগস্ট চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি। ফেনীর ফতেহপুর রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে ডিবির ওই সদস্যরা তার গাড়ি থামান। ওই সময় তার কাছে থাকা ২০টি স্বর্ণবার নিয়ে যান তারা।

এ ঘটনায় গোপাল এসপির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

প্রথমে পুলিশ চারজনকে আটক করে। তাদের জবানবন্দি অনুযায়ী আরও দুজনকে আটক করা হয়।

মঙ্গলবার রাতে গোপাল ওসি সাইফুল, উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহের হোসেন, মিজানুর রহমান ও নুরুল হক এবং সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অভিজিত বড়ুয়া ও মাসুদ রানার নামে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এরপর পুলিশ দুই দফায় ওসিকে চারদিন করে আটদিনের রিমান্ডে পায়। বাকিদের দুই দফায় তিনদিন করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

এ ঘটনায় ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়।

গত ১৭ আগস্ট পুলিশের গাড়ি চালক মঈনুল হোসেন ও আমজাদ হোসেন তুহিন আদালতে জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে বলা হয়েছে, স্বর্ণ ডাকাতির পর ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাসকে ফেনীর সীমানা পার করে দেন ওসি সাইফুল। তার সঙ্গে ছিলেন এসআই মোতাহের হোসেন, মিজানুর রহমান ও নুরুল হক।

ওই ব্যবসায়ী যাতে অন্য কোনো পুলিশ সদস্যের হাতে আটক না হন তা নিশ্চিত করতেই এই কৌশল নেন তারা।

এই ঘটনায় পুলিশ ডিবির সোর্স ছমদুল করিম ভুট্টুকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে জানান, স্বর্ণবারের ভাগ পাওয়ার শর্তে তিনিই পুলিশকে গোপালের তথ্য দিয়েছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর