বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথির মারার অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন হয়েছে। রোববার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই কমিটি গঠন করে।
কমিটিতে শজিমেকের সহকারী অধ্যাপককে প্রধান করে চারজন সদস্য রয়েছেন। সোমবার থেকে এই কমিটির কার্যক্রম শুরু হবে। তদন্ত শেষে বুধবাবের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন দেবে বলে জানিয়েছেন শজিমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ।
রোববার দুপুরে ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শজিমেকের একজন সহকারী অধ্যাপককে প্রধান করে এই কমিটি করা হয়। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে তারা।’
শনিবার রাত ৯টার দিকে শজিমেক হাসপাতালে মারধরের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মারধরের শিকার অন্তঃসত্ত্বা জয়নব বেগম বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নন্দগ্রামের আছলামের স্ত্রী।
আছলাম জানান, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী জয়নব বেগম বুধবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতে তার রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তিনি চিকিৎসকদের বিষয়টি জানান। আছলামের কথা হাসপাতালের কোনো চিকিৎসকই আমলে নিচ্ছিলেন না। এদিকে তার স্ত্রীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। তিনি আবারও চিকিৎসকদের কাছে ছুটে যান। একপর্যায়ে চিকিৎসকের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। এর জের ধরেই চিকিৎসকরা আছলামকে বেধড়ক মারধর করেন।
আছলাম বলেন, ‘আমাকে চিকিৎসকরা কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। ওই সময় আমার ছোট ভাই জাকির ছিল। তাকেও মারধর করেন চিকিৎসকরা। একপর্যায়ে আমাকে একটি ঘরে আটকে রেখে বেধড়ক পিটিয়েছেন তারা। ওরা (চিকিৎসক-ইন্টার্ন চিকিৎসক) ৫০ জনের মতো ছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে অসুস্থ স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে ছুটে আসে। সে আসলে তার পেটে লাথি মারেন এক চিকিৎসক। অন্যরা তাকে কিল-ঘুষি মারেন। এ সময় পুলিশ সদস্যদেরও মারধর করেন চিকিৎসকরা।’
মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে হাসপাতালে যাই। গিয়ে দেখি আছলাম ও তার স্ত্রীকে মারধর করা হচ্ছে। আমি তাদের বাঁচাতে গেলে চিকিৎসকরা আমাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। ওই সময় আমার সঙ্গে থাকা এটিএসআই আশরাফুল, কনস্টেবল শরীফ ও অরুপকেও মারধর করেন চিকিৎসকরা।’