বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাপানি মায়ের আবেদনে দুই শিশু উদ্ধার

  •    
  • ২২ আগস্ট, ২০২১ ১৮:১৪

সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিসানুল হক জিসান বলেন, ‘আমরা দুই শিশুকে উদ্ধার করেছি। তবে এখনো সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়নি। আমাদের টিম পথে রয়েছে।’

দুই মেয়েকে জিম্মায় পেতে ঢাকায় এসে জাপানি মায়ের করা আবেদনের পর দুই শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

রোববার বিকেলে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিসানুল হক জিসান। তিনি জানান, ‘আমরা দুই শিশুকে উদ্ধার করেছি। আদালতে তোলার আগ পর্যন্ত শিশু দুটি সিআইডির হেফাজতে থাকবে।’

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবেক স্বামী শরীফ ইমরানের কাছ থেকে নিজের দুই সন্তানকে ফিরে পেতে জাপানি নাগরিক ডা. নাকানো এরিকোর রিটের শুনানি শেষে দুই সন্তানকে ৩১ আগস্ট হাজির করতে গত বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।

পাশাপাশি জাপানি আইন ভঙ্গ করে সন্তান নিয়ে আসা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত।

রিটে দুই শিশুকে তাদের মা এরিকোর জিম্মায় দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

২০০৮ সালের ১১ জুলাই জাপানের নাগরিক এরিকো ও বাংলাদেশি আমেরিকান শরীফ ইমরান জাপানি আইন অনুযায়ী বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা টোকিওতে বাসবাস শুরু করেন। তাদের ১২ বছরের সংসারে তিন মেয়েসন্তানের জন্ম দেন এরিকো। তারা হলো জেসমিন মালিকা, লাইলা লিনা ও সানিয়া হেনা।

এরিকো পেশায় একজন চিকিৎসক। মালিকা, লিনা ও হেনা টোকিওর চফো সিটিতে আমেরিকান স্কুল ইন জাপানের (এএসআইজে) শিক্ষার্থী ছিল।

চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি শরীফ ইমরান বিবাহবিচ্ছেদের (ডিভোর্স) আবেদন করেন। ২১ জানুয়ারি ইমরান এএসআইজে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তার মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন।

স্কুল কর্তৃপক্ষ এরিকোর সম্মতি না থাকায় তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। পরে ইমরান তার মেয়ে জেসমিন ও লিনাকে স্কুলবাসে বাড়ি ফেরার পথে বাসস্টপ থেকে অন্য একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যান।

২৫ জানুয়ারি ইমরান তার আইনজীবীর মাধ্যমে এরিকোর কাছে তার সন্তানদের পাসপোর্ট হস্তান্তরের আবেদন করেন। এরিকো তা প্রত্যাখ্যান করেন।

গত ২৮ জানুয়ারি এরিকো টোকিওর পারিবারিক আদালতে তার সন্তানদের জিম্মার অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চেয়ে মামলা করেন। আদালত ৭, ১১ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি শিশুদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে সাক্ষাতের আদেশ দেয়। ইমরান আদালতের আদেশ ভঙ্গ করে মাত্র একবার মায়ের সঙ্গে দুই মেয়ের সাক্ষাতের সুযোগ দেন।

এরিকোর অভিযোগ, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ইমরান তার মেয়েদের জন্য নতুন পাসপোর্টের আবেদন করেন এবং গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নতুন পাসপোর্ট নেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইমরান তার দুই মেয়ে জেসমিন ও লাইলাকে নিয়ে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।

দুই মেয়ের বিবৃতি ও সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে টোকিওর পারিবারিক আদালত গত ৩১ মে এরিকোর অনুকূলে জেসমিন ও লাইলার জিম্মা হস্তান্তরের আদেশ দেয়। বিষয়টি নিয়ে এরিকো বাংলাদেশের একজন মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করেন, কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য তিনি বাংলাদেশে আসতে পারেননি।

চলতি বছরের ১৮ জুলাই এরিকো শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে আসেন। তবে ইমরান শ্রীলঙ্কা থেকে এরিকোকে ফিরে যেতে বলেন।

এরিকোর অভিযোগ, তিনি বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করান, যার ফল নেগেটিভ আসে। অথচ ইমরান রিপোর্টের ফল অবিশ্বাস করে তার সঙ্গে সন্তানদের সাক্ষাতে অস্বীকৃতি জানান। অবশেষে সন্তানদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেলেও তা ছিল হৃদয়বিদারক।

গত ২৭ জুলাই এরিকোকে তার মোবাইল সংযোগ বন্ধ ও চোখ বাঁধা অবস্থায় মেয়েদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ দেয়া হয়। একই অবস্থায় তাদের গাড়িতে তাকে পৌঁছে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে আইনি প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে দুই মেয়ের জিম্মা চেয়ে রিট করেন জাপানি নাগরিক এরিকো।

এ বিভাগের আরো খবর