বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমি অসুস্থ হয়ে মরে যাব: পরীমনি

  •    
  • ২১ আগস্ট, ২০২১ ১৭:৫৭

পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী আদালতকে বলেন, ‘আসামির সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেয়া হয় না, আমাদের কোনো কাগজপত্র জিআর শাখা থেকে দেয়া হয় না, আমরা তার আইনজীবী। আদালতের কাছে আইনি লড়াই করার জন্য সহায়তা চাই।’

‘আলোচনা করার দরকার নেই, আগে জামিন করান, আমি পাগল হয়ে যাব। আপনারা আমাকে জামিন করাচ্ছেন না কেন? আমি অসুস্থ হয়ে মরে যাব।’

আদালতে আনা হলে এভাবেই নিজের আইনজীবীদের কাছে দ্রুত জামিন করার অনুরোধ জানিয়েছেন পরীমনি।

বনানী থানার মাদক মামলায় তৃতীয় দফায় এক দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার পরীমনিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে সিআইডি।

এর আগেও আদালতের নির্দেশে পরীমনিকে দুই দফায় মোট ছয় দিন নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সংস্থাটি।

১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় পরীমনিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা। এ সময় শুনানি শেষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এক দিনের জন্য সিআইডি পুলিশের হেফাজতে দেয়ার আদেশ দেন মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম।

রিমান্ড শেষে শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে পরীমনিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে মাত্র ১০ মিনিটের শুনানি শেষ হয় আদালতে। পরে তাকে পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

এদিন বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজতখানায় রাখা হয় পরীমনিকে। এ সময় ঢাকার মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালতে তার জামিন চেয়ে কোনো শুনানি হয়নি। তবে আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীসহ কয়েকজন আইনজীবী পরীমনির সঙ্গে আইনি বিষয়ে পরামর্শ করার জন্য আদালতে আবেদন করেন।

আবেদনের শুনানিতে আইনজীবীরা আলাদা করে গারদখানায় গিয়ে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলতে চান।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বিরোধিতা করে বলেন, ‘আসামির সঙ্গে কথা বলার কিছু নাই। মামলাটি তদন্তাধীন, তাই আসামির সঙ্গে কথা বলার কী আছে? পরীমনির নানা এসেছিলেন, তার স্বজনরা এসেছিলেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তো আপনারা।’

এ সময় আসামিপক্ষে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী আদালতকে বলেন, ‘আসামির সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেয়া হয় না, আমাদের কোনো কাগজপত্র জিআর শাখা থেকে দেয়া হয় না, আমরা তার আইনজীবী। আদালতের কাছে আইনি লড়াই করার জন্য সহায়তা চাই।’

তখন বিচারক বলেন, ‘আপনারা আসামির সঙ্গে কী বিষয়ে কথা বলতে চান? আসামি রিমান্ডফেরত এসেছেন, আপনারা কি এখানে কথা বলবেন?’

এর জবাবে আইনজীবী সুরভী বলেন, ‘আমরা তার সঙ্গে আইনি বিষয়ে পরামর্শ করার জন্য কথা বলব। তার সঙ্গে আমরা এ পর্যন্ত দেখা করতে পারি নাই। গ্রেপ্তারের পর থেকে আইনি সহায়তা থেকে আসামি বঞ্চিত হচ্ছে।’

এ সময় বিচারক বেলা ২টা ৫৪ মিনিটে আদেশ হবে বলে এজলাস ত্যাগ করেন।

পরে ২টা ৫৭ মিনিটে আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর আদালতে এসে আদেশ শুনিয়ে বলেন, ‘দেখা করে আলাদা করে কথা বলার আবেদন নাকচ করেছেন বিচারক আশেক ইমাম।’

এর আগে পরীমনি আইনজীবীদের বলেন, ‘আলোচনা করার দরকার নাই। আগে জামিন করান। আমি পাগল হয়ে যাব। আপনারা আমাকে জামিন করাচ্ছেন না কেন? আমি অসুস্থ হয়ে মরে যাব।’

এভাবেই মাত্র ১০ মিনিটে শুনানি শেষ হয় আদালতে।

৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। সংস্থাটি জানিয়েছে, অভিযানে তার বাসা থেকে বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিপুল পরিমাণ দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর