বনানী থানায় করা মাদক মামলায় তৃতীয় দফায় এক দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
শনিবার মাত্র দশ মিনিটের শুনানির সময় পরীমনির আইনজীবীরা তার সঙ্গে কথা বলার জন্য বিচারকের কাছে আবেদন করেন।
এ সময় পরীমনি তাদের বলেন, ‘আমাকে কি আপনারা পাগল বানাবেন? কথা বলার দরকার নাই, জামিন আবেদন করে জামিন করান।’
এর আগে ১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় পরীমনিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের নিতে আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা। এ সময় শুনানি শেষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এক দিনের জন্য সিআইডি পুলিশের হেফাজতে দেয়ার আদেশ দেন মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম।
রিমান্ড শেষে শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে পরীমনিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। বেলা পৌনে ৩টার দিকে তাকে এসজলাসে তোলা হয়।
এরপর মাত্র সাত মিনিটের মধ্যে শুনানি করে বিচারক আশেক ইমাম পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পরীমনির সঙ্গে তার আইনজীবীরা কথা বলার জন্য একটি আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনটি বিচারক খারিজ করে দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবেদনটির বিরোধিতা করেন।
তিনি শুনানিতে বলেন, ‘তার সঙ্গে দেখা তো করেছেন। ওকালতনামা দিয়েছেন এবং তার নানার সঙ্গে কথা বলেছেন তো। তার কাছে বিদেশি মদ, এলএসডি, দশ গ্রাম আইস, ব্রট পাওয়া গেছে। তাই তদন্তের স্বার্থে তার সঙ্গে কথা আলাদা করে বলতে দেয়া যাবে না, দরকার নাই।’
৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। সংস্থাটি জানিয়েছে, অভিযানে তার বাসা থেকে বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিপুল পরিমাণ দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট পরীমনির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় পরীমনির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।