বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বরিশালের ঘটনায় কাউন্সিলর মান্না গ্রেপ্তার

  •    
  • ২১ আগস্ট, ২০২১ ১৪:৫৫

ব‌রিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসায় হামলার জেরে পু‌লিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলার আসামি শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্নাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন শনিবার দুপুরে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মান্না ব‌রিশাল সি‌টি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউ‌ন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠ‌নিক সম্পাদক।

এর আগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শিয়া মস‌জিদ এলাকায় বোনের বাসা থেকে প্রশাসনের লোক প‌রিচয়ে সাদা পোশাকধারীরা তাকে নিয়ে যায় বলে দাবি করে তার পরিবারের সদস্যরা।

নিউজবাংলাকে ‌বিষয়টি নি‌শ্চিত করেছিলেন কাউ‌ন্সিলর মান্নার বড়‌ বোন কানিজ ফাতেমা।

‌তি‌নি জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তার বাসায় একদল সাদা পোশাকধারী লোক এসে মান্নাকে নিয়ে যায়। তখন তাদের প‌রিচয় জানতে চাইলে তারা প্রশাসনের লোক বলে জানায়।

মান্নাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তারা ব‌রিশালের থানায় যোগাযোগের জন্য বলেন।

এ বিষয়ে বরিশাল কোতোয়া‌লি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) নুরুল ইসলাম বলেন, ‘কাউন্সিলর মান্নার গ্রেপ্তারের বিষয়ে এখ‌নও কেউ আমাদের অবগত করে‌নি। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পার‌ছি না।’

হামলার ঘটনায় বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মমিন উদ্দিন কালুকেও শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ নিয়ে হামলার ঘটনায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বুধবার ঘটনার দিন ও পরের দিন ১৩ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযানে আরও ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঘটনার দিনই বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহামুদ বাবু ও ব‌রিশাল জেলা বাস মি‌নিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউ‌নিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শাহ‌রিয়ার বাবুকে আটক করা হয়।

উপজেলা পরিষদ চত্বরে বুধবার রাতে ব্যানার খোলাকে কেন্দ্র করে নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলার অভিযোগ এনে সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর গুলি ছোড়ে আনসার সদস্যরা।

এতে মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকনসহ ৩০ জন আহত হন। পরে সিটি করপোরেশনের কর্মী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে।

এ ঘটনায় পুলিশ ও ইউএনও মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে আলাদা দুটি মামলা করেন। সেখানে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়। মোট আসামি করা হয় ৬০২ জনকে।

এ বিভাগের আরো খবর