আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনিকে এক নজর দেখতে আবারও আদালত প্রাঙ্গণে এসেছেন তার শতবর্ষী নানা শামছুল হক গাজী।
বৃহস্পতিবার রিমান্ড ও জামিন শুনানির জন্য আদালতে আনা হয় মাদক মামলায় গ্রেপ্তার এ অভিনেত্রীকে। রিমান্ড শুনানি শেষে তাকে আবারও এক দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
সকালে পরীমনিকে আনার খবর শুনেই আদালতে ছুটে আসেন শতবর্ষী নানা শামছুল হক। তবে নাতনির সঙ্গে দেখা হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।
এর আগেও যখন রিমান্ড চাইতে পরীমনিকে আদালতে তোলা হয়, তখনও ছুটে এসেছিলেন তিনি। সে সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘কতদিন হলো তাকে দেখি না। ওর জন্য দুশ্চিন্তায় আমার ঘুম হয় না। কেউ নেই ওকে দেখার জন্য।’
শামছুল হকের দাবি, তার বয়স ১১০ বছর। ছোট বেলায় বাবা-মাকে হারানো পরীমনি বড় হয়েছেন নানার কাছেই।
পরীমনির জামিনের জন্য ১৬ আগস্ট বিশেষ আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। এ আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা ছিল বুধবার। এর মধ্যে এই অভিনেত্রীকে নতুন করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামির উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন রাখে আদালত।
পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে গত ৪ আগস্ট মাদকদ্রব্যসহ আটক করে র্যাবের একটি দল। পরের দিন তাকে আটকের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। বনানী থানায় এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করে বাহিনীটি। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে চার দিনের রিমান্ডে পাঠান বিচারক।
গত ১০ আগস্ট পরীমনিকে আদালতে তোলা হলে সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে আবারও দুই দিনের রিমান্ডে পাঠায়। এরপর থেকে কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন তিনি।