বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাংবাদিকের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার আরও ২

  •    
  • ১৭ আগস্ট, ২০২১ ১৯:৫৩

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, ‘সাংবাদিক সোহেল রানাকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পর আমরা তার ক্ষতস্থানে সেলাই দিচ্ছিলাম। কিছুক্ষণ পর তিনজন যুবক এসে তাকে আবারও চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।’

চুয়াডাঙ্গায় স্থানীয় সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পৌর এলাকার নূরনগর কলোনিপাড়া থেকে মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন চুয়াডাঙ্গা শহরের ফেরিঘাট রোড এলাকার জান্নাত হোসেন ও একই এলাকার আল মমিন।

এর আগে মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে আহত সাংবাদিক সোহেল রানা ডালিমের বড় ভাই মো. আরিফ তিনজনের নামে ও অজ্ঞাতপরিচয় ২ থেকে ৩ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক স্কুল ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের প্রস্তাবিত কমিটির অন্যতম সদস্য রাজু আহমেদকে।

রাজুকে সোমবার রাতেই আটক করা হয়। মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সোহেল নিউজবাংলাকে জানান, সোমবার রাতে সংবাদ সংগ্রহ শেষে তিনি শহরের ইমার্জেন্সি রোড হয়ে সময়ের সমীকরণ পত্রিকা অফিসের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় আব্দুল্লাহ সিটির সামনে তার মোটরসাইকেলের সঙ্গে রাজুর মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে।

এতে রাজু ক্ষিপ্ত হয়ে সোহেলের মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা চলে।

সোহেল বলেন, ‘তখন হঠাৎ করে একজন পেছন থেকে আমার পিঠে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। আমি কোনো রকমে হেলমেট দিয়ে তাদের প্রতিহত করে একটি চলন্ত ইজিবাইকে করে দ্রুত সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসি। জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমাকে আবারও কুপিয়ে জখম করে তারা।’

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, ‘সাংবাদিক সোহেল রানাকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পর আমরা তার ক্ষতস্থানে সেলাই দিচ্ছিলাম। কিছুক্ষণ পর তিনজন যুবক এসে তাকে আবারও চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পুলিশ আসার খবর শুনে তারা পালিয়ে যায়।’

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাকিল আরসালান জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সোহেল রানার পিঠ, বুক ও হাতে গভীর ক্ষত হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণও হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি এখনও আশঙ্কামুক্ত নন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, গ্রেপ্তার তিন আসামিকে আদালতে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। তাদের তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর