ভাসানচর থেকে পালানোর সময় বঙ্গোপসাগরে নৌকা ডুবে নিখোঁজ চার রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ প্রায় দুই দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ ও কোস্ট গার্ড।
এ ঘটনায় এখনও অন্তত ২১ রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছেন।
সন্দীপের সারিকাইত থেকে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড। এ দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সন্দীপের গুপ্তছড়া ও ছোয়াখালী থেকে আরও দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রউফ ও সন্দীপ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূর আহমেদ।
আব্দুর রউফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোমবার সকালে সন্দীপের সারিকাইত থেকে দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জোয়ারের পানিতে মরদেহগুলো সেখানে ভেসে আসে। মরদেহ দুটি ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
সন্দীপ থানার পরিদর্শক নূর আহমেদ বলেন, ‘গুপ্তছড়া ঘাট ও মগধরার ছোয়াখালী থেকে দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রা কেউ তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। আমাদের ধারণা, মরদেহ দুটি বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া রোহিঙ্গাদের। জোয়ারের পানিতে ঘাটে এসেছে হয়ত।’
এর আগে রোববার বিকেল ৪টার দিকে ভাসানচর থেকে ১০-১২ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড।
ভাসানচর থেকে পালানোর সময় শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে বঙ্গোপসাগরে নৌকা ডুবে অন্তত ২৬ রোহিঙ্গা নিখোঁজ হন। ভাসানচর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে ভাসানচর ও চট্টগ্রামের মাঝামাঝি সাগরে এ ঘটনা ঘটে।
কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা আব্দুর রউফ সে সময় জানান, শুক্রবার রাতে ৩৮ থেকে ৪০ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর থেকে নৌকা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। চট্টগ্রামের দিকে ১৪ থেকে ১৬ কিলোমিটার যাওযার পর নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় ১২ জন সাঁতরে কাছাকাছি থাকা মাছ ধরার নৌকায় উঠে ভাসানচরে ফিরেছেন।
আব্দুর রউফ বলেন, ‘জীবিত রোহিঙ্গারা শনিবার ভোর ৫টার দিকে তীরে পৌঁছালে বিষয়টি জানাজানি হয়। তখন আমরা খবর পাই। এরপর থেকেই আমাদের পোর্টে গ্রান্ডে ও অপরাজেয় নামের দুটি জাহাজ এবং নৌবাহিনীর অতন্দ্র নামের একটি জাহাজ নিখোঁজ রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। উদ্ধার অভিযানে আমাদের তিনটি ট্রলারও রয়েছে।’