হবিগঞ্জে ভোর থেকে ছিল বৃষ্টি। এর মধ্যে সকালে কাজে যেতে অটোরিকশায় বের হন অলিপুরের প্রাণ আরএফএল কোম্পানির সাত শ্রমিক।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জের নসরতপুর এলাকায় সামনে থাকা আরেকটি গাড়িকে ওভারটেক করে অটোরিকশাকে রং সাইডে নিয়ে যান চালক। সে সময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যান এটিকে চাপা দেয়। প্রাণ হারান শ্রমিকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এ ঘটনা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈনুল ইসলাম।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া যায় যে একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে জানতে পারেন ট্রাক নয়, চাপা দেয়া পরিবহনটি কাভার্ডভ্যান।
ওসি বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে ধারণা করা হচ্ছে যে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি দ্রুতগতিতে মহাসড়কে চলছিল। তখন বেশ বৃষ্টিও হচ্ছিল। সামনের কোনো এক পরিবহনকে ওভারটেক করতে গিয়েই কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি চলে যায় এটি। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা।
এরপর থেকে অটোরিকশাচালক নিখোঁজ বলে জানান তিনি।
দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকরা হলেন চুনারুঘাট উপজেলার শ্রী বাউত গ্রামের রাহেলা খাতুন, একই গ্রামের স্বপন মিয়া ও আব্দুল আহাদ, পান্ডাইল গ্রামের সোহাগ মিয়া ও হনুফা বেগম ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বরমপুর গ্রামের আলা উদ্দিন। নিহত আরেক ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
ওসি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। আহতদের হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক আরও তিনজনকে মৃত ঘোষনা করেন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখান থেকে একজনকে সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে মরদেহগুলো। সেখানে সুরতহাল শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে জানান ওসি।