চট্টগ্রামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০টি স্বর্ণবার নিয়ে আত্মসাতের ঘটনায় ফেনী পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আবারও রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক কামরুল ইসলাম রোববার বিকেলে চারদিনের রিমান্ড আবেদন গ্রহণ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, পুলিশ ফেনী ডিবির বরখাস্ত ওসি সাইফুল ইসলামকে দ্বিতীয় দফায় সাতদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে। আদালত চারদিনের আবেদন গ্রহণ করে। রোববার সাইফুল ইসলামের প্রথম দফার চারদিনের রিমান্ড শেষ হয়।
মনির হোসেন আরও জানান, রোববার মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়।
পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন থেকে এই মামলাটি পিবিআই তদন্ত করবে। মামলা সংক্রান্ত সব তথ্য-উপাত্ত আমরা বুঝে নিয়েছি।
‘গ্রেপ্তার ছয় বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমাদের হেফাজতে থাকবে।’
শনিবার বিকেলে উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহের হোসেন, মিজানুর রহমান ও নুরুল হক এবং সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অভিজিত বড়ুয়া ও মাসুদ রানাকে দ্বিতীয় দফায় তিনদিন করে রিমান্ডে পায় পুলিশ।
এর আগে বুধবার দুপুরে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ খান প্রথম দফায় ওসির চারদিন ও বাকিদের তিনদিন করে রিমান্ড আবেদন গ্রহণ করেন।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার নুরুন্নবী নিউজবাংলাকে জানান, গত ৮ আগস্ট চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি। ফেনীর ফতেহপুর রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে ডিবির ওই সদস্যরা তার গাড়ি থামান। ওই সময় তার কাছে থাকা ২০টি স্বর্ণবার নিয়ে যান তারা।
এ ঘটনায় গোপাল এসপির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
প্রথমে পুলিশ চারজনকে আটক করে। তাদের জবানবন্দি অনুযায়ী আরও দুজনকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে গোপাল তাদের নামে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এসপি আরও জানান, পুলিশ গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে ১৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে। এগুলোর বৈধতা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে ওই ছয় পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়।