ভাসানচর থেকে পালানোর সময় বঙ্গোপসাগরে নৌকা ডুবে অন্তত ২৬ রোহিঙ্গা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ১০ থেকে ১২ বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড।
ভাসানচর থেকে ১০ থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ থেকে রোববার বিকেল চারটার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন কাজি শাহ আলম।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রোববার বিকেল চারটার দিকে বঙ্গোপসাগরে ভাসানচর থেকে আনুমানিক ২০ কিলোমিটার বা ১০- ১২ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড। মরদেহটি ভাসানচর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে নিলে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যেতে পারে।’
শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে ভাসানচর থেকে পালানোর সময় বঙ্গোপসাগরে নৌকা ডুবে অন্তত ২৬ রোহিঙ্গা নিখোঁজ হন।
ভাসানচর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে ভাসানচর ও চট্টগ্রামের মাঝামাঝি সাগরে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে শনিবার সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রউফ।
তিনি জানান, শুক্রবার রাতে ৩৮ থেকে ৪০ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর থেকে নৌকা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। চট্টগ্রামের দিকে ১৪ থেকে ১৬ কিলোমিটার আসার পর সাগরে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় ১২ জন সাঁতরে ও কাছাকাছি থাকা মাছ ধরার নৌকার মাধ্যমে ভাসানচরে পৌছালেও বাকিরা নিখোঁজ রয়েছে।
আব্দুর রউফ বলেন, ‘ফিরে আসা রোহিঙ্গারা শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে তীরে পৌঁছালে বিষয়টি জানাজানি হয়। তখন আমরা খবর পাই। এরপর থেকেই আমাদের পোর্টে গ্রান্ডে ও অপরাজেয় নামের দুটি জাহাজ এবং নৌবাহীনীর অতন্দ্র নামের একটি জাহাজ নিখোঁজ রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। উদ্ধার অভিযানে আমাদের তিনাট ট্রলারও রয়েছে।’
কোস্টগার্ডের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তারা ভাসানচর থেকে চট্টগ্রামেই পালিয়ে আসছিল কি না, সেটি এখনও স্পষ্ট না। তীরে পৌঁছানো ১২ জনের তথ্যমতে, ওই নৌকায় ৩৮ থেকে ৪০ জন ছিল। সে হিসেবে অন্তত ২৬ রোহিঙ্গা এখন পর্যন্ত নিখোঁজ।’