গাইবান্ধায় এক দড়িতে ঝুলন্ত সেই দুই বন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রোববার দুপুরে এ কথা জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এ আর এম আলিফ।
সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পশ্চিম পেয়ারাপুর গ্রামের ঘাটালের ভিটা থেকে ১২ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মৃণাল চন্দ্র দাস ও সুমন চন্দ্র দাসের মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
মৃণালের বাড়ি সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের চুনিয়াকান্দি গ্রামে ও সুমনের একই ইউনিয়নের পাঠানডাঙ্গা মাঝিপাড়া গ্রামে। তারা এলাকায় মাছের ব্যবসা করতেন।
এসপি জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর সুমনের বাবা সুশান্ত কুমার দাস সদর থানায় প্রদীপ চন্দ্র দাস ও নিতাই চন্দ্রের নামে এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।
পুলিশ প্রদীপকে গ্রেপ্তারের পর তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন।
প্রদীপের বরাত দিয়ে এসপি জানান, সুমনের মায়ের সঙ্গে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন নিতাই। বিষয়টি জানাজানি হলে সুমন ও তার বন্ধু মৃণালের সঙ্গে নিতাইয়ের কথা-কাটাকাটি হয়।
১১ আগস্ট নিতাই তার বন্ধু প্রদীপ ও আরও কয়েকজনের সঙ্গে সুমন ও মৃণালকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ওই দুজনকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ করে দড়িতে ঝুলিয়ে দেন।
পুলিশ জানায়, মামলার বাকি আসামিদের ধরতে চেষ্টা চলছে।