দুর্বৃত্তের হামলায় আহত ঝালকাঠি পৌরসভার কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির খানের বাম হাত কেটে ফেলতে হয়েছে।
ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) শুক্রবার রাতে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে হুমায়ুন কবির খানের ছোটো ভাই রুবেল খান বলেন, ‘ধারালো অস্ত্রের কোপে তার বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছিল। কব্জির ২ ইঞ্চি উপর থেকে হাত কেটে ফেলতে হয়েছে।’
ঝালকাঠির পালবাড়ি এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে হুমায়ুন কবিরের উপর হামলা করে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার বাম হাতের কব্জি দ্বিখণ্ডিত হয়। গুরুতর আহত হুমায়ুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকায় এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হুমায়ুন কবিরের পরিবারের দাবি, ঝালকাঠি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল শরীফের নির্দেশে ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা হুমায়ুন কবিরের ওপর হামলা চালায় হত্যার উদ্দেশ্যে। হামলার সময় কামাল শরীফ ও তার ভাই জামাল শরীফ, ইদ্রিস শরীফ ও ইলিয়াস শরীফ উপস্থিত ছিলেন।
কাউন্সিলরের আরেক ভাই ঝালকাঠি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহ আলম খান ফারসু বলেন, ‘এর আগেও একাধিকবার আমার ভাইয়ের ওপর হামলা করেছে কামাল ও তার দলের সন্ত্রাসীরা। আমরা সবাই ঢাকায়। তাই এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ বা মামলা করতে পারিনি। ঝালকাঠি ফিরে মামলা করব।’
এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা কাউন্সিলর কামাল শরীফের দাবি, এ বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। ঘটনার দিন তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেনই না।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, ‘দুর্বৃত্তদের হামলায় কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির আহত হওয়ার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’