নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুর বাইপাসের মিরেরবাজার রেলক্রসিং এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলপথ বন্ধ থাকার সাড়ে সাত ঘণ্টা পর চালু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রুটের ট্রেন চলাচল।
ঢাকা থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত গ্যাসবাহী লরি রেললাইন থেকে সরানোর পর শুক্রবার রাত প্রায় আড়াইটার দিকে সচল হয় এই রেলপথ। সেইসঙ্গে ওই সড়কপথেও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হালিমুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ঢাকা থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকারী ট্রেন। সঙ্গে যোগ দেয় দুটি ক্রেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় লরিটি রেললাইন থেকে সরানো যায়। এর পর আটকে থাকা ট্রেনগুলো চলতে শুরু করে।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মিরেরবাজার রেলক্রসিং এলাকায় তিতাস ট্রেনের সঙ্গে গ্যাসবাহী লরির সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আহত হন পাঁচ পথচারী। স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা শেষে শুক্রবারই তারা বাসায় ফিরে গেছেন।
দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রুটের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ওই দুটি রুটে দেখা দেয় শিডিউল বিপর্যয়।
দুর্ঘটনার কারণে টঙ্গী-কালীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুর বাইপাস সড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটারজুড়ে যানজটও দেখা দেয়।
পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সিরাজগঞ্জগামী জিএমআই এলপিজি গ্যাসের লরিটি মিরেরবাজার রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। এ সময় লরিটিকে ধাক্কা দেয় ঢাকা থেকে আখাউড়াগামী ট্রেন তিতাস।
এতে গ্যাসবাহী লরির পেছনের অংশ ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেটি রেললাইন থেকে সরাতে সে সময় কাজে নামে ফায়ার সার্ভিস ও রেলওয়ের কর্মীরা। আর ট্রেনটি ঘুরিয়ে টঙ্গী রেল সেকশনে রাখা হয়।
টঙ্গীর স্টেশন মাস্টার হালিমুজ্জামান জানান, দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া লরিটি সরাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল উদ্ধারকর্মীদের। পরে ঢাকায় খবর দেয়া হলে উদ্ধারকারী ট্রেন পাঠায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।