চিত্রনায়িকা পরীমনিকে আটকের জন্য অভিযান, গ্রেপ্তার, আদালতে উপস্থাপন, দফায় দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ এবং জামিন না দেয়ার পেছনে ভিন্ন কিছু আছে বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান।
ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল শুক্রবার দুপুরে পরীমনির জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় আইনজীবী মজিবুর রহমান এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আদালতে বলেছি, এফআরআই ত্রুটিপূর্ণ। র্যাব সদস্য অপারেশন করেছেন, তার পূর্বানুমতি ছিল না। এটি আর্ম অ্যাক্ট ব্যাটালিয়ন অর্ডিনেন্স অনুযায়ী ছিল না।
‘২৪ ঘণ্টার বেশি সময় তারা কাস্টডিতে রাখতে পারেন না। বিজ্ঞ আদালতে সময়মতো প্রডিউস না করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৬১ ধারার ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে। এভাবে আদালতে নিয়ে আসার একটা কারণ ছিল, একটা রহস্য ছিল।
‘আমার মক্কেল পরীমনি আগে বলেছে, এখনও বলছে, দেয়ার ইজ আ ফ্যাক্ট বিহাইন্ড দ্য সিন। এটা আমরা আদালতে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। আদালত তবু মনে করছে জামিন দেয়া যাবে না।’
পর্দায় আড়ালে কী আছে? এ বিষয়ে পরীমনি তাকে কিছু বলেছেন কি না, এমন প্রশ্নে আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, ‘মামলাটি যেহেতু তদন্তাধীন আছে, সেহেতু আমরা বলতে পারব না। তদন্ত কর্মকর্তা নিশ্চয়ই সেটা উদঘাটন করবেন।
‘আমার মক্কেল আগেও বলছে, এখনও বলছে, আমি (পরীমনি) প্রতিহিংসার শিকার, ষড়যন্ত্রের শিকার।’
জামিন শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘তার বাসা থেকে উদ্ধার মাদকের কোনো বৈধ লাইসেন্স ছিল না। অবৈধভাবে রেখেছে, সেবন করেছে, হয়তো অন্যদের কাছে বিক্রিও করেছে।
‘জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য এসেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই হচ্ছে। সে জন্য আমরা জামিনের বিরোধিতা করেছি। আদালত তাকে জামিন দেননি।’
গত ৪ আগস্ট চিত্রনায়িকা পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। ওই অভিযানে তার বাসা থেকে বিপুল মাদকদ্রব্য উদ্ধারের কথা জানায় বাহিনীটি।
মাদক উদ্ধারের ঘটনায় ৫ আগস্ট পরীমনির নামে বনানী থানায় মামলা হয়। সে মামলায় প্রথম দফায় তাকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নায়িকাকে ফের দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন বিচারক।
দুই দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার পরীমনিকে আদালতে তোলা হয়।