রাজধানীর বনানী থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও তার সহযোগী সবুজ আলীর রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল শুক্রবার বিকেলে এ আদেশ দেন।
এর আগে বনানী থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে করা আরেক মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে এই দুজনকে আদালতে হাজির করা হয়।
তবে মাদকের এই মামলায় রিমান্ড চলমান থাকায় তাদের এখনই কারাগারে পাঠানো হচ্ছে না।
এর আগে, রাজধানীর বনানী থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির সহযোগী প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও রাজের সহযোগী সবুজ আলীর রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
কারাগারে যাচ্ছেন পরীমনি
রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল শুক্রবার বিকেলে এ আদেশ দেন।
দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে দুপুরের আগে পরীমনিকে আদালতে নেয়া হয়। বেলা ২টা ৩৮ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। সোয়া তিনটার পর রায় আসে।
পরীমনিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডির কর্মকর্তা।
অন্যদিকে পরীমনির পক্ষের আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী, মজিবুর রহমানসহ আরও কয়েকজন জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
শুনানিতে আইনজীবীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আসামির সামাজিক মানমর্যাদা রক্ষা এবং একজন শিল্পী হিসেবে মানসিক উৎপীড়ন থেকে রক্ষার মানবিক তাগিদেই তাকে জামিনে মুক্ত করা আবশ্যক। পরীমনির মুক্তির দাবিতে সমাজের মুক্তচিন্তার প্রগতিশীলরা সোচ্চার হচ্ছেন। বিজ্ঞ আদালত পত্রপত্রিকা খুললে দেখবেন প্রতিদিন এসব সংবাদ ছাপা হচ্ছে, টেলিভিশনে প্রচার করা হচ্ছে। দেশের বিশিষ্টজনেরা তার মুক্তি দাবি করছেন।
‘সে যদি এই মামলায় অপরাধী হয়, তাহলে তাকে মামলার বিচারের মধ্য দিয়ে শাস্তি দেয়া যাবে। কিন্তু আপাতত যেকোনো শর্তে তার জামিন চাই বিজ্ঞ আদালতে।’
আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে ২০ বোতল মদ পাওয়া গেছে। মামলার বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন যে, তদন্ত করে সাক্ষী পাওয়া যাচ্ছে। এটা একটি অনিশ্চিত বিষয়।’