মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজধানীর গুলশান থানায় করা মামলায় রিমান্ড ও জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে চিত্রনায়িকা পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ করিম জিমিকে।
ঢাকার মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ শুনানি শেষে বুধবার বিকেলে এ আদেশ দেন।
তিন দিনের রিমান্ড শেষে আসামি জিমিকে আদালতে হাজির করে আবার ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী খলিলুর রহমান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
তিনি আদালতে বলেন, ‘সামান্য একটি মাদক মামলায় এভাবে বারবার রিমান্ডের আবেদন করা কতটা যুক্তিসংগত, সে বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য বিজ্ঞ আদালতের কাছে সুবিবেচনা আশা করছি।’
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এ জামিনের বিরোধিতা করেন আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই মো. আলমগীর।
তিনি আদালতে বলেন, ‘আসামির বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন আপত্তিকর লোক ও মাদকের উৎস সম্পর্কে জানার জন্য তার রিমান্ড অতি আবশ্যকতা রয়েছে।’
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জিমির জামিন ও রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
গত ৬ আগস্ট রাত ৯টার দিকে গুলশান থেকে জিমিকে আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়।
পরের দিন ঢাকার মহানগর হাকিম তাকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠান।
গত ৪ আগস্ট চিত্রনায়িকা পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের কথা জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাকে আটকের পর মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পরীমনিকে আটকের দিন বনানী এলাকায় প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে আটক করা হয়। পরে তার নামেও মাদকের মামলা হয়।
পরীমনির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত চয়নিকা চৌধুরীকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয় পুলিশ। পরে আটক করা হয় জিমিকে।
ঢাকা বোট ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমনির সঙ্গী ছিলেন জিমি। তাকে আটকের পর ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ জানিয়েছিলেন, জিমির বিরুদ্ধে মাদক মামলা করে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
কস্টিউম ডিজাইনার জিমি কাজ করেন বিজ্ঞাপন ও সিনেমায়। কয়েক বছর ধরে তিনি স্থায়ীভাবে কাজ করছেন পরীমনির সঙ্গে। সুযোগ পেলে অন্য প্রোডাকশনেও কাজ করেন।
সম্প্রতি একটি টেলিফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের সেটে দেখা যায় তাকে।
অনলাইনভিত্তিক একটি পোশাক বিক্রির প্ল্যাটফর্ম আছে জিমির। এর নাম জিমি’স সিগনেচার।
বিউটিবাজবিডি নামের বিউটি প্রোডাক্ট বিক্রির অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে জিমির যুক্ত থাকার কথা জানা গেলেও প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ নিউজবাংলাকে জানিয়েছে, জিমি এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত নন।