সাভারে কলেজ অধ্যক্ষকে হত্যার পর দেহ ছয় টুকরা করার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আরেক আসামিকে সাত দিন রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতের জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম মো. মনিরুজ্জামান মঙ্গলবার বিকেলে এ আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার তিন আসামির মধ্যে সাভার রেসিডেনশিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক রবিউল ইসলাম ও তার ভাগনে রহিম বাদশা আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করেন। আরেক আসামি একই কলেজের শিক্ষক মোতালেব হোসেনকে সাত দিন রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন ফকির নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এসআই মিলন নিউজবাংলাকে জানান, কলেজ অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে হত্যায় গ্রেপ্তার তিন আসামির সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়। পরে বিচারকের কাছে রবিউল ও তার ভাগনে বাদশা হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
আরেক আসামি মোতালেব হোসেন স্বীকারোক্তি না দেয়ায় রিমান্ডে পাঠায় আদালত। স্বীকারোক্তি দেয়া দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৩ জুলাই থেকে সাভার রেসিডেনশিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণ নিখোঁজ ছিলেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ২২ জুলাই আশুলিয়া থানায় জিডি করেন নিহতের ছোট ভাই দীপক চন্দ্র বর্মণ।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রোববার মধ্যরাতে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে আটক করা হয় রবিউলকে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মিন্টুকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তার দেয়া তথ্যে হত্যায় জড়িত বাদশাকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও মোতালেবকে রাজধানীর আশকোনা থেকে আটক করা হয়।
তাদের দেয়া তথ্যে সোমবার দুপুরে আশুলিয়ার নরসিংহপুর রূপায়ন মাঠ এলাকায় কলেজের আঙ্গিনার মাটি খুঁড়ে অধ্যক্ষ মিন্টুর মরদেহের পাঁচটি টুকরা উদ্ধার করে র্যাব।
বিকেলে বিচ্ছিন্ন মাথাটি উদ্ধার করা হয় রাজধানীর আশকোনা এলাকার একটি ডোবা থেকে।
নিহত মিন্টু লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া গ্রামের শরত বর্মণের ছেলে।