বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিআইডির ডাক না পেলে ‘আতঙ্কের কিছু নেই’

  •    
  • ১০ আগস্ট, ২০২১ ১৮:০৪

সিআইডির প্রধান বলেন, ‘সামাজিক ও গণমাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির নাম আসছে, এতে নানা ধরনের কনফিউশন তৈরি হচ্ছে। এভাবে তথ্য ছড়ালে অনেকের সম্মানহানি হবে, বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে। আমরা যদি কাউকে না ডাকি, তাহলে বুঝতে হবে তিনি ওই মামলায় রেলেভেন্ট কেউ না।’

পরীমনি-পিয়াসাকেন্দ্রিক মামলাগুলোর তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনেককেই ডাকা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান। তবে তিনি আশ্বস্ত করে বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাদের ডাকা হবে তাদের কোনো তালিকা হচ্ছে না। এ বিষয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

নিজ কার্যালয়ে মঙ্গলবার বিকেলে এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মাহবুবর রহমান বলেন, ‘আমরা মামলাগুলোর তদন্তের স্বার্থে কথা বলতে অনেককেই ডেকেছি, সামনে হয়তো আরও অনেককে ডাকব। তবে এখনই কাউকে অভিযুক্ত বা দোষী করার সুযোগ নেই।

‘পরীমনি-পিয়াসাদের সবার বিরুদ্ধেই মাদক মামলার বাইরেও ব্ল্যাকমেইলিং ও প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেগুলোর সত্যতা জানতে আমরা অনেককেই ডাকছি, কাউকে ডাকা হচ্ছে অভিযোগের ভিত্তিতে, আবার কাউকে ডাকা হচ্ছে সাক্ষী হিসেবে।’

অভিযোগের বিষয়ে কেউ এখনও লিখিত অভিযোগ করেননি বলেও জানান মাহবুবুর রহমান। তবে তিনি বলেন, ‘কিছু মৌখিক অভিযোগ পেয়েছে সিআইডি।

এ ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমেও তাদের বিষয়ে কোনো অভিযোগের কথা শোনা গেলে সেসবও যাচাই করা হচ্ছে।’

সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন সিআইডির প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান

অভিনেত্রী ও কথিত মডেলদের কাছে যাতায়াতকারীদের কোনো তালিকা হচ্ছে না উল্লেখ করে সিআইডির প্রধান বলেন, ‘আইন অনুযায়ী আমাদের কোনো তালিকা করার সুযোগ নেই। সরাসরি সিআইডির কাছ থেকে ডাক না পেলে কেউ আতঙ্কিত হবেন না। আমরা শুধু মামলার সংশ্লিষ্টদেরই নিয়ম অনুযায়ী নোটিশ দিয়ে ডাকব।’

সাম্প্রতিক মামলাগুলোর সার্বিক দিক তুলে ধরে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ঢাকার কিছু জায়গায় অপারেশন হয়েছে এবং এসব অপারেশনে কিছু অ্যাকিউজড গ্রেপ্তার হয়েছে। এসব ঘটনায় ঢাকার বিভিন্ন থানায় মোট ১৫টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে আটটির তদন্ত আমরা করছি। মামলাগুলোর টোটাল আসামি ১০ জন। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে আসামি আছে পাঁচজন, দুজন অন্যদের কাছে রিমান্ডে আছে। সেই রিমান্ড শেষ হলে তাদেরও আমরা নিয়ে আসব।’

পরীমনি-রাজকে নতুন করে রিমান্ডে নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের আরও কিছু জিজ্ঞাসা, কিছু প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য কয়েকজন আসামিকে আবারও রিমান্ডে নিয়েছি। মামলাগুলোর দায়িত্ব পাওয়ার পর আমরা আমাদের মতো করে তাদের বাসায় আবারও সার্চ করেছি। তিনটা জিপ, একটা ফেরারি কার, একটা বিএমডব্লিউ ও একটি মাজদাসহ মোট ছয়টি গাড়ি জব্দ করেছি।

‘আমরা যাচাই করে দেখছি গাড়িগুলো কার নামে রয়েছে, কে ব্যবহার করত, বিআরটিএ থেকে কাগজ যাচাই করছি। প্রপারলি আমদানি করা হয়েছে কি না, সেটাও দেখা হবে। বেশ কিছু ল্যাপটপ, সেলফোনসহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও বেশ কিছু নথি জব্দ করেছি। ডিভাইসগুলোর ফরেনসিক ও যেসব মাদক পাওয়া গেছে সেগুলোর ক্যামিক্যাল অ্যানালাইসিস করা হচ্ছে।’

তদন্তাধীন বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে কোনো খবর প্রকাশ না করতে সংবাদমাধ্যমের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

সিআইডির প্রধান বলেন, ‘আমাদের তদন্তকাজ শেষ হলে আমরাই আপনাদের সব তথ্য জানাব। সামাজিক ও গণমাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির নাম আসছে, এতে নানা ধরনের কনফিউশন তৈরি হচ্ছে। এভাবে তথ্য ছড়ালে অনেকের সম্মানহানি হবে, বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে। আমরা যদি কাউকে না ডাকি, তাহলে বুঝতে হবে তিনি ওই মামলায় রেলেভেন্ট কেউ না।’

কারও বিদেশযাত্রায় এখন পর্যন্ত কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে প্রয়োজনে এমন সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’

মাদকের মামলা হলেও শুধু মাদক নিয়েই তদন্ত হচ্ছে না জানিয়ে সিআইডির প্রধান বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগগুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা তদন্ত করতে গিয়ে যেসব অসঙ্গতি পাচ্ছি, সেগুলো ধরেও কাজ করছি। অবৈধ কোনো বিষয় পেলে সেটা কারা আনল, কীভাবে আনল, কে পয়সা দিল, সোর্স কোথায়- সবকিছুই তদন্তে চলে আসছে। আসামিদের সম্পদ ও আয়ের উৎসও যাচাই করা হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর